বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
এক অভাবিত বিপর্যয়ের সম্মুখীন বিশ্ব। অদৃশ্য এক শত্রু, যে ধনী-দরিদ্র মানে না, রাষ্ট্রের সীমারেখা মানে না, আমাদের ক্রমে গ্রাস করে ফেলছে। এমনই এক আঁধারভরা সময় এখন। কিন্তু ধ্বংসস্তূপেও তো এসে লাগে সকালের সূর্য, আঁধারভরা সময়েও শোনা যায় গান। হোক না আঁধারভরা সময়ের গান, তবু সেই রকম একটি গান হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যথা কষ্ট, দুঃখ জানা। মহামারি করোনায় কাজ না থাকায় এ্যাপেন্টিসাইড অপারেশন করা টাকা জোগাড় করতে না পেরে ব্যাথায় ছট ফট করছে কামাল হোসেন নামে একজন যুবক। বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের কামাল হোসেন চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতে পারছে না এমন একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পায় বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। এরপর তিনি তার চিকিৎসার টাকা পাঠিয়ে দেন। দুঃসময়ে টাকা হাতে পেয়ে ওই পরিবারটি অত্যান্ত খুশি।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নজরে আসার পর মেয়র লিটন তাৎক্ষনিক ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের খোজ নিতে বলেন এবং চিকিৎসা খরচ বাবদ কত টাকা প্রয়োজন সব কিছু জানাতে বলেন। এরপর বেনাপোল পৌর যুবলীগ নেতা মুকুল রহমান এর নিকট তার চিকিৎসা খরচ পাঠিয়ে দেন মেয়র । মুকুল রহমান বড়আঁচড়া গ্রামে গিয়ে কামাল হোসেনের মা জাহানারা বেগমের নিকট চিকিৎসা খরচ তুলে দেন। এছাড়া তার চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যে খরচ লাগবে সেটাও বেনাপোল পৌর মেয়র নিজ অর্থায়ন থেকে বহন করবে বলে জানা যায়।
অসুস্থ রোগি কামাল হোসেন বলেন আমি এ্যাপেন্টিসাইড ব্যথা সহ্য করতে পারছি না। এরপর আমার কস্ট বুঝতে পেরে কেউ হয়ত ফেসবুকে বিষয়টি ছেড়েছিল। এরপর বেনাপোল পৌর মেয়র আমার চিকিৎসার খরচ পাছিয়েছেন। আমি অত্যান্ত খুশি। এই দুঃসময় তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।