বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল স্থল বন্দর এর অসৎ কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে আমদানিকৃত পণ্যর সাথে আসছে চোরাই পণ্য। কোটি কোটি টাকার এসব চোরাই পণ্য বৈধ খালাসকৃত পণ্যর সাথে বের হয়ে যাচ্ছে আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। সু-কৌশলে নিয়ে আসা এসব পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে বার বার ধরা পড়লেও নেওয়া হচ্ছে না বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এমনি ২৩ রোল সানটিস ডচঊ ২০০ ভারতীয় ফেব্রিক্স এর একটি চালান এন এসআই ( গোয়েন্দা সংস্থা) তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস জব্দ করেছে স্থল বন্দরের ২২ নং শেড থেকে বৃহস্পতিবার রাত্রে। বেনাপোল স্থল বন্দরে চোরাই পণ্য প্রবেশ করলে তা জানার জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশ নিশেধ বলে জানান কর্তব্য রত আনছার সদস্যরা। তারা জানায় উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার এর অনুমতি ব্যতিত বন্দরে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিশেধ। এদিকে বেলা সাড়ে ১২ টার সময় ২২ নং শেডে গেলে সেখানে কর্তব্যরত দুই জন ট্রাফিক পরিদর্শক এর মধ্যে একজনকেও পাওয়া যায়নি। শেডের ভিতর বহিরাগত লোকজন ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে গত ১/০৮/২১ ইং তারিখে সম্পুর্ন ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে মালগুলো াআমদানি করা হয়। আমদানিকারক হিসাবে ডকুমেন্টে নাম লেখা রয়েছে স্পেক্ট্রা সোলার পার্ক লিমিটেড। ওই ট্রাকটি রিসিভ করে বেনাপোল বন্দরের রয়েল সিএন্ডএফ প্রাইভেড লিঃ নামে একটি সিএন্ড এফ প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয় সংশ্লিষ্ট সিএন্ড এফ এর সত্বাধিকারী তৌহিদুর রহমান এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে মালটি জব্দ করা হয়েছে তা তাদের আমদানি কারক এর নয়। ওই গাড়িতে মালটি এসেছে। গাড়িতে তাদের আমদানিকারক এর আমদানিকৃত কি কি পণ্য ছিল সে তা বলতে পারে নাই। সে বলেছে আমরা ওই মালটি আমাদের নয় এ ব্যপারে কাস্টমস কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি গত ১৯ তারিখে। এতদিন বেনাপোল বন্দরের ২২ নং শেডে রয়েছে অভিযোগ কেন করেন নাই জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই। এছাড়া পণ্য চালানটি ২২ নং শেডে আনলোড করার সময় কেন জানান নাই জানতে চাইলে তারও কোন উত্তর তিনি দিতে পারে নাই।
এদিকে বন্দরে কর্তব্যরত একজন এনজিও কর্মী বলেন বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যর সাথে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে অনেক পণ্য আসে। শেড ইনচার্জরা তা নামিয়ে রাখে। পরে কাস্টমস এর ভেরিভিকেশন এর পর তা বৈধ পণ্যর সাথে চলে যায় গন্তব্য।
এ বিষয়টি সম্পর্কে বেনাপোল বন্দরের ২২ নং শেড ইনচার্জ রফিকুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে নামানো হয়েছে। আর এই মালের ম্যানিফেষ্ট রয়েছে। এটা কাস্টমস বলতে পারবে। ওই শেডে কর্মরত আর একজন ট্রাফিক পরিদর্শক তাপস সিকদার বলেন, এই পণ্য কি ভাবে এসেছে আমি বলতে পারব না। এটা আমার সিনিয়র রফিকুল ইসলাম ও মামুন স্যার বলতে পারবে।
নাম না বলার শর্তে জনৈক একজন বন্দর ব্যবহারকারী বলেন পণ্যটি স্পেক্ট্রা সোলার পার্ক লিমিটেড এর। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এরা এভাবে সিএন্ড এফদের মাধ্যেমে পণ্য বের করে নেয়। এখন পণ্যটি জব্দ হওয়ায় তারা তাদের পণ্য নয় বলে অস্বীকার করছে। তবে ওই সানটিস ডচঊ ২০০ ভারতীয় ফেব্রিক্স এর মেনিফেস্ট নাম্বার ২৭৫৩৮ এ এইচ (২৩) ।
এ বিষয় বেনাপোল স্থল বন্দর এর উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদারের কাছে জানতে চেয়ে তার সেল ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।বেনাপোল স্থল বন্দরের অতিরিক্ত কমিশনার এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।