বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃিততে ফূল দিয়ে বর্ণ্যাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা , চিত্রাংকন,ও কেককাটার মধ্যে দিয়ে বেনাপোলে উদযাপিত হয়েছে জাতির জনকের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল পৌর মেয়র এর নেতৃত্বে পৌরসভার আওয়ামী দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় পুস্প স্তবক অর্পন করেন বেনাপোল পৌর সভা, শার্শা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ,পৌর আওয়ামী যুবলীগ ,শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগ।

এরপর বেনাপোল পৌর দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় নেতা কর্মী ও স্কুল কলেজের শিার্থীদের সমন্বয়ে সকাল ১০ টার সময় বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের হয়ে বন্দর নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি করে। এরপর সকাল সাড়ে ১০ টার সময় বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি পৌর মেয়র এর আয়োজনে এক সংপ্তি আলোচনা ও জাতির জনকের ১০২ তম জন্মবার্ষিকি ও জাতিয় শিশু দিবস উপলে কেক কাটা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু। এসময় প্রধান অতিথি মেয়র আশরাফূল আলম লিটন বলেন,আজ ১৭ মার্চ । বাংলাদেশীদের জীবনে খুবই গুরুত্বপুর্ন মাস। এই মাসে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করা হয়। সে তো ১৯৭১ সালের ঘটনা। তবে এর আগে ১৯২০ সালে মার্চ মাসে বিশাল ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন যদি এই ঘটনা না ঘটত তবে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য রকমের হতে পারত। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহাকুমায় টৃঙ্গিপাড়া গ্রামে একটি শিশুর জন্ম হয়। সেই শিশু আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন এই শিশুটি জন্ম শুধু তার পরিবারের জন্য নয়। তার জন্ম সমগ্র জাতির জন্য । সেদিন যদি এই শিশুটির জন্ম না হতো তাহলে আমরা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র আলাদা ভুখন্ড এবং লাল সবুজের পতাকা পেতাম না।

মেয়র লিটন বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালবাসতেন। তিনি শিশুদের নিয়ে চিন্তা করতেন কি ভাবে এদেশের শিশুদের ভালো লেখা পড়া ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার করে গড়ে তোলা যায়। একটি দেশের সম্পদ সে দেশের মানুষ। তবে তাদের ছোটবেলা থেকে ভালো ভাবে লেখা পড়া করে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়াতে হবে। এই ছিল জাতির জনকের চিন্তা। উপস্থিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার শিার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ভালো লেখা পড়া শিখতে হবে। ভালো চিন্তা করতে হবে। তবেই হবে ভালো পিতা মাতার ভালো সন্তান। আজ পৃৃথিবীর অনেক দেশে আছে একটি পরিবারের তিনটি ভাইবোনের একজন বিজ্ঞানী। তাদের ধ্যান ধারনা চিন্তা ভাবনা অনেক বড়। আমাদেরও সেরকম চিন্তা করে এগোতে হবে।
এসময় তিনি শিার্থীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন জাতির জনক শেখ মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু বড় নেতা নয়। তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে বড় নেতা। এত বড় নেতা সম্ভবত বাংলাদেশের মানুষের জন্য আর কখনও আসেবেনই না। তিনি যখন জন্ম নেন তখন দেশ ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। সেই ব্রিটিশদের শাসন থেকে পাকিস্থানীদের কাছ থেকে মুক্ত করে একটা স্বাধীন দেশ তৈরীতে শেখ মুজিব সক্রিয় অংশগ্রহন করেন এবং অনেক গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ, যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সহ সভাপতি এমদাদুল হক বকুল, কার্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, বেনাপোল পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, বেনাপোল পৌর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, বেনাপোল মরিয়াম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক রমজান আলী বেনাপোল পৌর সচিব সাইফূল আলম বিশ্বাস, সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।