বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
সারা পৃথিব্যপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার রোধে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে ইমিগ্রেশনের প্রবেশমুখে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাকচালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় ট্রাকচালক-হেলপাররা যাতে বন্দরের বাইরে যেতে না পারেন সেজন্য বন্দরের বহির্গমন গেটে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, দণি আফ্রিকায় প্রথম করোনার ‘ওমিক্রন’ ধরনটি শনাক্ত হয়। দণি আফ্রিকা, বতসোয়ানা, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালিতে থেকে যারা বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসবেন তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং করে স্বাস্থ্য পরীা করা হচ্ছে।’বন্দর ও ইমিগ্রেশনে মেডিকেল টিম সার্বণিক কাজ করছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশ থেকে আসা নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের েেত্র বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রাজু বলেন, ‘ভারত থেকে আসা সবাইকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা মাস্ক ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের ফ্রি মাস্ক দেওয়া হচ্ছে।’
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।