বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
করোনা না পজিটিভ না থাকা সত্বেও বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টাইনে থাকা কঠোর সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেছেন ভারত ফেরত অসুস্থ কাঁলাচাদ মধুর স্ত্রী অঞ্জনা মধু। ভারতে ৫ মাস চিকিৎসা শেষে বেনাপোল দিয়ে ফেরত আসা ওই রোগির পেটে ও প্রস্রাবে নল লাগানো। সাথে তার ২৪ ঘন্টা হচ্ছে কাথরুম। পরিয়ে রাখা হয়েছে প্যাম্পাস। ভারতীয় ডাক্তার বলেছে দেশে নিয়ে যান রোগির বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীন। তারপর ভারত থেকে করোনা সনদ নিয়ে এসেও থাকতে হবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় মুমুর্ষ রোগীকে একটি হুইল চেয়ারে বসা থাকতে দেখা যায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে। পাশে বসা স্ত্রী অঞ্জনা মধুর দুচোখে ঝরছে অঝোরে পানি। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে হাউ মাউ করে ঁেকদে ফেলে ওই নারী। তিনি বলেন আমার স্বামীকে ভারতীয় ডাক্তার বলেছে বাঁচবে না। বাড়ি নিয়ে যান। ৫ মাস পর দেশে ফিরছি। এখন ১৪ দিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। এই রোগীর শরীরে পাইপ লাগানো। আমি কি ভাবে একে নিয়ে ১৪ দিন থাকব। ছেলে মেয়েরা তার বাবার মুখ দেখতে পারবে না। আমি এখানকার ডাক্তারদের রোগীর অবস্থা দেখতে বললেও তারা কোন কথা শুনছে না। তারা বলছে আপনাকে থাকতে হবে যে কোন হোটেলে অথবা হাসপাতালে। আমি বললাম আমার বাড়ির পাশে আগৈল ঝরা হাসপাতাল আছে সেখানে দিন ; কিন্ত আমার কোন কথা তারা কর্নপাত করছেন না। আমি উপায় খুজে পাচ্ছি না। এছাড়া আমাদের শরীরে করোনা পজিটিভ নেই । ওপার থেকে তার সনদ ও নিয়ে এসেছি। তারপর কেন এত যন্ত্রনা দিচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের এস আই মফিজুর রহমান বলেন আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের দায়িত্ব ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা। এরপর কে কোথায় থাকবে তা দেখ ভার করছে ডাক্তার ও উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত মেডিকেল টিমের সদস্য মামুন হোসেন বলেন, আমাদের কিছু করার নাই। ওনাকে হয় হাসপাতাল নয় হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এদিকে স্থানীয় একটি সুত্র জানায় বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের আত্নীয় স্বজন এ পথে যাতায়াত করে ভারত থেকে ফেরার পথে কোন কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগছে না। এমনকি তাদের ল্যাগেজ ও তল্লাশি করা হচ্ছে না।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।