বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন প্রবেশদ্বার বেনাপোল স্থল বন্দর এর ইমিগ্রেশনে করোনা ও ওমিক্রণ প্রতিরোধে নেই কোন স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থা।সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমনে মানুষ যখন আতঙ্ক তখনও নেওয়া হয়নি বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সুরার জন্য প্রয়োজনীয় কোন পদপে। ঢিলে ঢালা ভাবে চলছে ভারত সীমান্তের পাশে অবস্থিত বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম। কয়েক দফায় যশোর সিভিল সার্জনের বেনাপোল পরিদর্শনের পরও নেই কোন গুরুত্বপূর্ণ তদারকি। বেলা ১২ টার সময় স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসে যেয়ে পাওয়া যায়নি কোন ডাক্তার কর্মচারী।
আমাদের প্রতীবেশী রাষ্ট্র ভারতে ওমিক্রণের প্রার্দুভাব চলছে। যার কারনে বাংলাদেশ রয়েছে অত্যান্ত ঝুকিতে। বিশ্বব্যাপি যে ভাবে ওমিক্রণ বাড়ছে তাতে বাংলাদেশেও বাড়ার আশঙ্কা করছে অনেকে। যার জন্য ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের সঠিক পরীা নিরীারও বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করে সচেতন মহল।
ভারত থেকে আসা ঢাকার পাসপোর্ট যাত্রী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ভারতে এর মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারত বিদেশী যাত্রী ও তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় পরীা নিরীা করছে। আমি বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেখছি এখানে ঢিলেঢালা ভাবে তদারকি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইমিগ্রেশন ডেস্কে রয়েছে একজন স্বাস্থ্য কর্মী। সে শুধু মাত্র ভারত ফেরত যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ দেখছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীা করে প্রবেশ করার কথা থাকলেও ইমিগ্রেশনে তেমন কোন ব্যবস্থা নেই।
বেনাপোল লিংক রোডের আমদানি রফতানি গেটে যেয়ে দেখা গেছে সেখানে কিছু স্বাস্থ্য বিধিমালা বেনাপোল স্থল বন্দর পালন করছে। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে প্রবেশের সময় প্রতিটি গাড়ি জীবানু নাশক ঔষধ দিয়ে স্প্রে করছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপ। আবার ভারতীয় বন্দর কর্তৃপ বাংলাদেশী পণ্যবাহি রপ্তানি ট্রাকও স্প্রে করছে।
এদিকে আমদানি পণ্য আনলোড না হলে ভারতীয় বন্দর কর্তপ তাদের দেশের ট্রাক চালকদের বিকালে ফেরত নিচ্ছে। তবে তা প্রতিদিন বেলা ৪ টার সময়। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের ভারতীয় গেটে পরীা নিরীার পর ফেরত নিচ্ছে। আবার তারা বাংলাদেশে পরদিন সকালে প্রবেশ করছে। তবে কিছু ভারতীয় চালক বাংলাদেশে থেকে যাচ্ছে। আর এরা নির্ধারিত জায়গায় হোটেল রেস্তোরা না থাকায় এরা বেনাপোল বাজার সহ বিভিন্ন দোকানপাঠ এলাকায় ও ঘোরা ফেরা করছে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।