বেনাপোল প্রতিনিধিঃ পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমন ট্যাক্স ফাঁকির ঘটনায় বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের মালিক মুল হোতা শামিম পলাতক রয়েছে। তবে ওই ট্যাক্স ফাঁকির সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে বেনাপোল চেকপোষ্টের গ্রীন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন ও নোমান নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনার সাথে জড়িয়ে জসিমকে আটক করার প্রতিবাদে বেনাপোল চেকপোষ্ট বাজার কমিটি দোকান পাঠ বন্ধ করে দেয় সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে বেলা ৯ টা পর্যন্ত। জসিমকে আটক এর প্রতিবাদে পোর্ট থানার সামনে পরিবহন ও বাজার কমিটির লোকজন দীর্ঘ সময় অবস্থান নেয়। তবে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে নাই। সকাল ৯ টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ চেকপোষ্টে এসে পরিবেশ শান্ত করে। গত বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমন কর জালিয়াতীর কপি বেনাপোল কাস্টমস এর কাছে ধরা পড়ে। এরপর কাস্টমস পুলিশ যৌথ ভাবে চেকপোষ্টের সাদিপুর রোডের বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্টে আসলে দোকান মালিক শামিমকে না পেয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে স্থানীয় বাজার কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে। এবং ওই দোকানের কম্পিউটার প্রিন্টার মেশিন সহ অন্যান্য জিনিসপত্র জব্দ করে। গভীর রাত্রে ভ্রমনকর ফাঁকির সাথে জড়িত থাকার সহযোগিতা থাকতে পারে বলে জসিম উদ্দিনকে তার নিজস্ব বাসভবন বড় আঁচড়া থেকে আটক করে বন্দর থানা পুলিশ। ওই ঘটনার পরিপ্রেেিত শুক্রবার সকালে চেকপোষ্ট এলাকায় সাময়িক দোকানপাট বন্ধ ও পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন নেতা কর্মী ও বাজার কমিটি। ভ্রমন কর ফাঁকির মুল নায়ক শামিম হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অপকর্ম করে আসছে বলে এলাকার মানুষ এর মুখে মুখে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। শামিম হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামের কুখ্যাত স্বর্ণ চোরাচালানী মোমিন উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। মোমিন একাধিক বার স্বর্ণ নিয়ে বিজিবির কাছে আটক ও হয়েছে। বেনাপোল চেকপোষ্টের বাজার কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা বলেন, জসিম উদ্দিনকে অহেতুক আটক করা হয়েছে। সে একটি পরিবহনের ম্যানেজার। ওই পরিবহন এর যাত্রী সেবা দ্রুত করার জন্য গ্রীন লাইন পরিবহনের কর্মচারীরা অনলাইন থেকে ভ্রমন ট্যাক্স নিয়েছে শামিম এর দোকান থেকে। এর মধ্যে দোকান মালিক জালিয়াতী করলে পরিবহন ম্যানেজার জানবে কি ভাবেেএছাড়া জসিম উদ্দিন এর সামাজিক অবস্থানও আছে। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কোন অসৎ গোষ্টি চক্রান্ত করে থাকতে পারে।
বেনাপোল আন্তজেলা ট্রাক মালিক ইউনিয়ন এর নেতা আবু সাইদ বলেন, ভ্রমন কর ফাকির সাথে জসিম কোন ক্রমে জড়িত নয়। তার দায়িত্বে আসা গ্রীন লাইন পরিবহনের যাত্রীদের সাথে বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট এর শামিম প্রতারণা করেছে। সে তাদের জাল ট্যাক্স দিয়ে অহেতুক জসিমকে হয়রানি করেছে। ওই দোকানে কি হয় না হয় তা অন্যযাত্রী বা কোন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানবে কি ভাবে। তিনি জসিম উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়ার জোর দাবি জানায়। এবিষয় মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই সোহেল হোসেন বলেন, ভ্রমন কর ফাঁকির ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে কাস্টমস কর্তৃপ মামলা দায়ের করেছে। জসিম ও নোমান নামে দুই জন আটক হয়েছে। বাকিদের আটক এর চেষ্টা চলছে। কতগুলো ট্রাক্স ফাঁকি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দীর্ঘ দিন ধরে এসব কাজ করছে বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট। এতে সে হাজার হাজার ট্যাক্স ফাঁকি দিছে বলে মনে হয়। গতকাল ২৯ টি ট্যাক্স সনাক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে সব জানা যাবে। এ ব্যাপারে বেনাপোল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং ১৪, তারিখ ১৪/০৭/২০২২। কাস্টমস সুপার সোহেল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে যাত্রীদের ট্যাক্স স্কানিং করলে তাতে জাল প্রমানিত হয়। ট্যাক্সের কপির উপর অন্য যাত্রীর নাম এডিট করে বসানো হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ও আটক করে আইনের কাছে সপোর্দ করা হবে। জসিম উদ্দিনকে বেলা ১২ দিকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। মোঃ আনিছুর রহমান বেনাপোল যশোর
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।