1. dainikasharalo@gmail.com : admin2021 :
  2. sagor201523@gmail.com : AKASH :
  3. anisurrohman2012@gmail.com : anisur : anisur rohman
  4. qtvbanglanews2018@gmail.com : sagor201523@gmail.com :
২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা - Dainikasharalo.com
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতীয় বাইক বিক্রিতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, প্রতারিত হচ্ছে মানুষ বেনাপোলে ফেনসিডিল সহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক বেনাপোলে পৃথক অভিযানে মদ-ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ৩ ভারতে জেল খেটে দেশে ফিরল তিন যুবক ও দুই যুবতী বেনাপোল সীমান্তে ৩ কেজি ৩৫০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার শার্শায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু শার্শায় ফসলের মাটি গিলে খাচ্ছে ভাটা : প্রভাবশালী সহ জড়িয়ে রয়েছে ইউপি সদস্যরা বেনাপোল পুটখালি সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কেজি স্বর্ণসহ আটক ২ হারানো ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংশিত বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ




২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১
  • ৬২২ বার পঠিত:
২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
জাতিয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিয়ার) ২০২১-২২ চলতি অর্থবছরে আমদানি পণ্য থেকে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছেন। রোববার বিষয়টি কাস্টমস হাউসের পরিসংখ্যান শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এ আরও) তানভির মেহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছিল মাত্র ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের গ্রোথ অনান্য সময়ের চাইতে বেশি হলেও ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।২০১৬-১৭ তে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঘাটতি ২০৩ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২০১৩-১৪ তে ঘাটতি ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ তে ঘাটতি ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতি পরিমান ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।

এদিকে চলতি বছরে এত বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা আদায় নিয়ে সংশয় রয়েছে সব মহলে। তারা বলছেন রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারনে কাস্টমস ও বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে কখনো এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এপথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ব্যবসায়ীরা চাহিদা মত পণ্য আমদানি করতে পারেন না।এতেই বার বার রাজস্ব আয়ে ধ্বস নামছে

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারন একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্য দিকে সুষ্ঠভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসুচী দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। তবে কাঙ্খিত উন্নয়ন হলে এবন্দর থেকে লক্ষ্য মাত্রার দ্বিগুন রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষে সম্ভব।

আমদানি কারক সাহেব আলী বলেন, বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষ জনক না। আমদানি কারকদের নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বন্দরে পণ্য পাহারা দিতে হয়। বন্দর থেকে পণ্য চুরি,বারবার রহস্য জনক অগ্নিকান্তে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ব্যবসা বন্ধ করেছেন। এছাড়া এ বন্দর দিয়ে বৈধ পথে মাদক দ্রব্য প্রবেশ বেড়ে যাওয়ায় ঝামেলা এড়াতে ভদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকে অন্য বন্দরে চলে গেছেন। এসব কারনে পর পর ৮ থেকে ৯ বছর ধরে এ বন্দর থেকে আমদানি পণ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চাহিদা মত রাজস্ব আহরণ করতে পারছেন না।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় অনিশ্চিত। কারণ কাস্টমস ও বন্দরের নানান অব্যবস্থাপনায় আমদানি কমেছে এ বন্দর দিয়ে। বেনাপোল কাস্টমসে আমদানি পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষনে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নাই। এতে খুলনা ও ঢাকা থেকে পরীক্ষা করাতে মাসের অধিক সময় লেগে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় পণ্য চালান আটকা পড়ে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বিএসটি আই ও বিএসআইআরের শাখা স্থাপনের দাবী আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর ছেড়েছেন। বন্দরে চাহিদা মত জায়গা না থাকায় পণ্য খালাসের জন্য দিনের পর দিন ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। কয়েক বছর ধরে রাজস্ব আয় কমার ক্ষেত্রে এটিও একটি বড় কারণ মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, ব্যবসায়ীরা যেখানে সুবিধা পাবেন সে পথে আমদানি, রফতানি বাণিজ্যে আগ্রহী হবেন এটাই স্বাভাবিক। চট্রগ্রাম বন্দরে অনেক সুবিধা বিদ্যমান তাই ব্যবসায়ী দিন দিন সে পথে আমদানিতে ঝুকছেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ও বন্দরে বৈধ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা এপথে আবার ফিরবেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দরে পর্যপ্ত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছেনা। এতে কয়েক বছর ধরে রাজস্বের লক্ষমাত্রা পূরন অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমদানির চাহিদা বাড়লেও ৫ বছর আগে প্রতিদিন যে পরিমান পণ্য আমদানি হতো এখনও তার পরিমান সে জায়গাতে রয়েছে। আমদানি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বন্দরে রাস্তার সংকীর্ণতা রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চাহিদা মত পণ্য আমদানি করতে পাছেন না। বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বলা হলেও নজরদারী কম। যদি চাহিদা মত সব ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয় তবে আমদানি বাড়বে রাজস্ব ও বাড়বে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক(ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান,বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পণ্যগারের জন্য জমি অধিগ্রহন,নতুন পণ্যগার নির্মান ও বন্দর এলাকায় রাস্তাঘাটের অনেকটা উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরে আরো জমি অধিগ্রহন ও পণ্যের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে। যে সব পণ্যে বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে সেসব পণ্য আলাদা নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়িদের চাহিদার কথা ভেবে আরো কিছু উন্নয়ন মুলক কাজের চিন্তা ভাবনা চলছে। এসব উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে এ বন্দরে বাণিজ্য আরো গতি বাড়বে বলেও জানান তিনি।

 




এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ




স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২    বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।

 
Theme Developed By ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!