বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শার শরিফুল মেম্বার সরকারী নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর করে বাগআঁচড়া বাজারের খাজনা তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শার্শার কায়বা ও বাগআচঁড়া দুটি ইউনিয়নের মোহনায় বাগআঁচড়া বাজার। সরকারী সম্পদ ও স্থাপনা থেকে খাজনা তুলার জন্য প্রতি বছর ইজারা দেয় সরকারের পে উপজেলা প্রশাসন। ওই ইজারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরপত্র দাতা পায় হাটবাজারের ইজারা। এই বাজারের ইজরা পায় সাবেক কায়বা ইউনিয়নের মেম্বার শরিফুল । তিনি ইজারা পেয়ে হাটের মালিকানাধীন ঘর, সরকারী স্থাপনা সহ সকল জায়গার খাজনা নিচ্ছে বলে একাধিক লোক অভিযোগ করেছেন।
বাগআচঁড়া বাজারের আরিফুল ইসলাম বলেন প্রতি বৃহস্পতিবার ও সোমবার প্রতিটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে শরিফুল মেম্বার তার লোক দিয়ে জোর করে খাজনা আদায় করছে। এতে ব্যবসায়িরা তিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিটি ঘর থেকে সপ্তাহে ৪০ টাকা আদায় করে। অপরদিকে তিনি বাজারের বাইরে ও যে সব আড়ৎ রয়েছে তাদের নিকট থেকেও আদায় করছে একই হারে টাকা। সেখানে কৃষকরা তাদের পণ্য নিয়ে আসলে উভয়ের নিকট থেকে এই খাজনা আদায় করছে।
কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেন, আমার জানামতে যে ব্যক্তি বাৎসরিক হাট বাজার ইজারা গ্রহন করবে সে সরকারী স্থাপনা ও খালি জায়গায় যারা দখল করে কেনা বেচা করবে তাদের নিকট থেকে খাজনা গ্রহন করবে। কিন্তু এই বাজারে তার ভিন্নতা দেখতে পাচ্ছি। বাজারে প্রতিটি লোকের নিকট থেকে ইজারা তুলছে।
এ বিষয় শরিফূল মেম্বার এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ভ্যাট সহ বাগআঁচড়া বাজার ৮৩ ল টাকায় ইজারা নিয়েছি। যদি খাজনা আদায় না করি তবে কি ভাবে এত টাকা তুলব। তাছাড়া বেশী টাকা আদায় করা হয়না। প্রতিহাটে মাত্র ২০ টাকা করে ওই সব দোকান থেকে আদায় করা হয়। যারা আদায় করে তাদের পিছনে যায় ১ হাজার আার আমার থাকে মাত্র ৫ শত টাকা। আমি এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়নচন্দ্র পাল বলেন, আপনাকে যারা এধরনের অভিযোগ দিয়েছে তাদের আমার দপ্তরে লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দিতে বলেন আমি বিষয়টি দেখব।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।