বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শার্শার তোতা চেয়ারম্যান। শালিশের মাধ্যেমে লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য ও বাল্য বিয়ের অভিযোগ তুলে বিয়ে বাড়ির খানা তুলে নিজের অনুসারিদের মধ্যে বিতরনের সংবাদ প্রকাশের জেরে ১০নং শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা ও তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহীনি কর্তৃক ”দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার” পত্রিকার শার্শা প্রতিনিধি মোঃ ইকরামুল ইসলামকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, খুন জখম এবং শার্শা বাজারে উঠলে জুতা পেটা করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় শনিবার সকালে ইকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে ও সাংবাদিক ইকরামুল ইসলামের মাধ্যমে জানা গেছে, গত ৮ ও ৯ মে চেয়ারম্যান তোতার নামে চটকাপোতা গ্রামের জমি জমা সংক্রান্ত বিচারে লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য ও একই পরিবারের বাল্য বিবাহের অভিযোগ তুলে বিয়ে অনুষ্ঠানের খাবার তুলে এনে তার সমার্থকদের ভিতরে বণ্টনের অভিযোগে বিভিন্ন অনলাইন এবং পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। তারই জের ধরে ১৩ই মে শুক্রবার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলামকে ল্য করে তিনি সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় ইকরামুল গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শার্শা বাজারে উঠলে খুন জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সহ তার সন্ত্রাসী বাহীনির সাজিদ সহ কয়েকজন আমকে মারতে তেড়ে আসে, তখন স্থানীয় জনগণ আমকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে আমাকে হুমকির আংশিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে ভাইরাল হয়েছে।
চেয়ারম্যান তোতা ও তার সন্ত্রাসী বাহীনির অকথ্য ভাষার গালিগালাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের মনে তীব্র ােভের সৃষ্টি হয়। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচারনে সাধারণ জনগণ হতবাক হয়েছেন এবং সকলেই তার কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান তোতার এ ধরনের আচারনে শার্শা উপজেলার সাংবাদিকরা ােভ, নিন্দা ও ঘৃনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। অনতি বিলম্বে সঠিক তদন্ত সাপেে তোতাকে আইনের আওয়াতায় আনার জন্য সাংবাদিকরা প্রশাসনের হস্তপে কামনা করেন।
এ বিষয় চেয়ারম্যান তোতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন আমি কেন সাংবাদিকদের খুন জখম এর হুমকি দিব। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর বিয়ে বাড়ির খানা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আনা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।