বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
নানা জল্পনা কল্পনার মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে শার্শা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের নির্বাচন। ২৮ তারিখে সকাল ৮ থেকে একটানা ভোট শেষ হয় বেলা ৪ টায় কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়া। প্রায় সকল ইউনিয়নে সুষ্ঠুভাবেই নির্বচান সম্পন্ন হলেও বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ও বাগআচড়া ইউনিয়নে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে নৌকা প্রতীকের বাঘা বাঘা প্রার্থী এবার কুপোকাত হয়েছে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীরা নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে।

প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে বিতর্কীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে পরাজিত করেছে শার্শা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা বিপুল। বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্র্থী মিজানুর রহমানকে পরাজিত করেছে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত বিদ্রোহী আনারস প্রতীক প্রার্থী মফিজুর রহমান। কায়বা বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসান ফিরোজ টিংকুকে পরাজিত করেছে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক (বহিস্কৃত) আলতাফ হোসেন। গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রশিদকে পরাজিত করেছে বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তবিবার রহমান। বাগআঁচড়া ইউনিয়ন এর বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুলকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেক। লনপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম আবারও বিজয়ী হয়েছে। ডিহি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আসাদুজ্জামান মুকুল বিজয়ী হয়েছে। অপরদিকে বেনাপোলের পুটখালী, উলাশী ইউনিয়ন ও শার্শা সদর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে নির্বাচন বর্জন করায় যথাক্রমে আব্দুল গফফার সরদার, রফিকুল ইসলাম ও কবির উদ্দিন তোতা নির্বাচিত হয়েছে।
লনপৃর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম বলেন শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী সামসুর রহমান এর সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা করে ভোট জবরদস্তী করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়।

এদিকে সকাল ৭ টার সময় নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ডরা বাহাদুরপুর কেন্দ্রে আসার সময় আনারস প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী মফিজুর রহমান ও তার সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী লাল। ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও তারা প্রথমে উল্টা দোষারোপ করে নৌকা প্রতীকের এজেন্ডদের। অপরদিকে বাগআচড়ার নৌকা প্রতীকের ইলিয়াছ কবির বকুল তার প্রতিকুল অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেই সরে যান নির্বাচন থেকে। একটি সুত্র বলেছে তাকে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা আটকে রেখেছিল।