বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শার সাতমাইল গরুর হাট চালু না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে দক্ষিনবঙ্গের অনেক খামার ব্যবসায়ী ও বেপারীরা। সম্প্র্রতি হাটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে না জেনে ট্রলিতে করে হাটে গরু এনে ফেরত নিতে না পেরে এখানকার বাগানে আশ্রয় নিচ্ছে। সপ্তাহে দু’দিন শনিবার ও মঙ্গলবার এই হাট বসে। একদিকে গাড়ি ভাড়া অপরদিকে গরুর খাদ্য জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে এসব গরুর মালিকেরা। সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী লকডাউনের প্রতি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে গরু হাটের ইজরাদাররা হাটে এসব গরু প্রবেশ করতে না দেওয়ায় বড় বড় গরু নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে দুর দুরান্ত থেকে আসা বেপারী ও খামারীরা।
সাতমাইল হাটে গরু নিয়ে চৌগাছা থেকে আসা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি একজন গরুর বেপারী। গত দুই মাস আগে খামারীদের নিকট থেকে ১১ টি গরু ক্রয় করি কোরাবানির বাজারে ভালো দাম পাওয়ার জন্য। আজ হাটবার, তবে সরকার এ হাট বন্ধ ঘোষনা করেছে জানতাম না। তাই গাড়িতে করে ৬ টি গরু নিয়ে এসেছি। এখন না পারছি বাড়ি ফেরত যেতে না পারছি হাটে গরু উঠাতে। এই বাগানে গরু বেঁধে রেখে চিন্তায় পড়েছি। একই কথা বলেন গরুর খামারী গোলাম রসুল ও আব্দুল হালিম।
স্থ্নানীয়রা বলেন এখানে মাস্ক পরে হাতে স্যানিটাইজার ও জীবানু নাশক স্প্রে মেশিন দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাট পরিচালনা হচ্ছিল। হঠাৎ করে একটি কুচক্রী মহল গুজব ছড়িয়ে হাটটি বন্ধ করে দেয়। এই হাট বন্ধ হয়ে গেলে সরকারের রাজস্ব দেওয়া ইজারাদারদের লোকসান গুনতে হবে।
মঙ্গলবার সাতমাইল গরুর হাটে যেয়ে শুণ্য হাট পাওয়া যায়। তবে হাট বন্ধ যারা জানে না তারা দুর থেকে গরু নিয়ে এসে পড়েছে বিপাকে। তাদের ফিরে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া নেই। গরু এখানকার বাগানে বেধে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। এখানকার আবুল হোসেন নামে একজন খামারী বলেন, যদি হাট না চলে আার বেপারী না আসে তবে আমাদের পথে বসতে হবে। সারা বছর ধার দেনা করে গরুর খাবার কিনতে হয়েছে। পাওনাদারদের সাথে চুক্তি ছিল কোরবানীর হাটে গরু বিক্রির পর টাকা পরিশোধ হবে।
ইজারাদার আব্দুল খালেক খতিব ধাবক বলেন, আমি ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে হাটটি ইজারা নিয়েছি। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমার জমি বিক্রি করে ধারদেনার টাকা দিতে হবে। আমিতো সরকারকে রাজস্ব দিয়েছি। আর এই হাটটি করোনা মহামারি দুর্যোগে পরিচালনা করা হচ্ছে একেবারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে। প্রতিটি হাটের লোকের মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ স্প্রে মেশিনের মাধ্যেমে জীবানু ধ্বংস করা হয়।
শার্শা থানা নির্বাহি অফিসার মীর আলীফ রেজা বলেন, ৩০ জুন এর পর প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যেমে সরকার হাট চলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ওই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট হওয়া যাবে গবাদি পশুর হাট চলবে কি না। তবে সাতমাইল হাটের ইজরাদাররা অত্যান্ত সচেতেন তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাট চালাবে বলে ও আমাকে অবহিত করেছে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।