বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শায় তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর ইন্ধনে একটি চক্র ভাসুরের ঘর ভাঙ্গা, স্বর্নলংকার লুটপাট সহ হত্যার হুমকি দিয়েছে।উপজেলার শংকরপুর গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে হাফিজুর বিগত ১০ বছর আগে বিয়ে করার ২ বছর পর তালাক দেয় স্ত্রী লাইলিকে। তবে লাইলি বেগমের ঘরে ওই সময় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর প্রায় ৬ মাস আগে পুনরায় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল সমঝোতা করে তাদের আবার মিলমিশ করে বিয়ে দেয়। এরপর লাইলি খাতুন তার পুরাতন প্রেমিকদের সাথে যোগাযোগ রাখায় স্বামী হাফিজুর তাকে সম্প্রতি কোর্ট এর মাধ্যেমে ডিভোর্স দেয়। এরই কারনে লাইলি খাতুন ইন্ধন দাতা লুৎফর রহমান, আবুল কালাম, নুরজাহান বেগম মনির সহযোগিতায় প্রায় ৪ শতাধিক লোক জড় করে ভাসুর হাসানুর এর ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এবিষয় সরেজমিনে শংকরপুর গ্রামে যেয়ে লাইলি বেগমের শশুর ও হাসানুর এর পিতাা হেদায়েততুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার ছেলে হাফিজুরের স্ত্রী লাইলি সুবধিা জনক মেয়ে নয়। সে এলাকার ল্কোজন যোগাড় করে এর আগে আমার জায়গায় ঘর বেধেছে জোর করে। এরপর গত শুক্রবার আমার বাড়ি ও ছেলে হাসানুর এর বাড়ি হামলা করে। এসময় তিন চারশত লোক জড় হয়। হামলার এক পর্যায় হাসানুরের ঘরে প্রবেশ করে লুটপাট করে।
এ বিষয় হাসাুনর ও তার স্ত্রী মায়া বেগম বলেন, লাইলি তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। তাকে তালাক দিয়েছে তার ভাই। ছোট ভাই হাফিজুর বর্তমানে কোথায় থাকে তাও তারা জানে না। লাইলি গ্রামের লোকদের ইন্ধন জুগিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে বলেছে তাদের দুই জনের ইন্ধনে লাইলিকে তালাক দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আমার বাড়ি হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার স্বর্নলংকার সহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এ ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা আরো জানায় শংকরপুর গ্রামের আবুল কালম মাষ্টার তাদের ইন্ধন দাতা। এবং ওই মাষ্টারের সাথে লাইলির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কে ইতি মধ্যে কালাম মাষ্টার দুই শতক জমিও লাইলিকে দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক মতিয়ার রহমান বলেন, লাইলিকে কিছু স্বার্থম্বেসী মহল ইন্ধন যুগিয়ে দিনে দুপুর এ ধরনের ন্য্ক্কাারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা কোন রকম কাম্য নয়। তাছাড়া লাইলিকে তার স্বামী তালাক দিয়েছে ;এখানে হাসানুর দায়ি নয়। কেন এরকম করল এটা আদালতের মাধ্যেমে বিচার হওয়া উচিত?
বিষয়টি লাইলির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে কোর্টের মাধ্যেমে। তবে আমার ভাসুর ও তার স্ত্রীর ইন্ধনে তালাক দিয়েছে। তাছাড়া তারা আমাকে বিভিন্ন সময় গালাগালি করে যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিষয়টি গ্রামবাসিকে জানালে তারা এ ঘটনা ঘটায়।
নাম প্রকাশে জনৈক ওই গ্রামের একজন লোক বলেন, লাইলি খুব একটা ভালো মেয়ে নয়। তাকে প্রায় ৮ বছর আগে তালাক দিয়েছে। এরই মধ্যে সে দুটি বিয়ে করেছে। এছাড়া অনেক লোকের সাথে সে অবৈধ মেলামেশা করে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।