1. dainikasharalo@gmail.com : admin2021 :
  2. sagor201523@gmail.com : AKASH :
  3. anisurrohman2012@gmail.com : anisur : anisur rohman
  4. qtvbanglanews2018@gmail.com : sagor201523@gmail.com :
রক্তের বিনিময়ে বাংলাভাষা, চাই দাপ্তরিক ব্যবহার - Dainikasharalo.com
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতীয় বাইক বিক্রিতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, প্রতারিত হচ্ছে মানুষ বেনাপোলে ফেনসিডিল সহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক বেনাপোলে পৃথক অভিযানে মদ-ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ৩ ভারতে জেল খেটে দেশে ফিরল তিন যুবক ও দুই যুবতী বেনাপোল সীমান্তে ৩ কেজি ৩৫০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার শার্শায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু শার্শায় ফসলের মাটি গিলে খাচ্ছে ভাটা : প্রভাবশালী সহ জড়িয়ে রয়েছে ইউপি সদস্যরা বেনাপোল পুটখালি সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কেজি স্বর্ণসহ আটক ২ হারানো ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংশিত বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ




রক্তের বিনিময়ে বাংলাভাষা, চাই দাপ্তরিক ব্যবহার

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৪৯৯ বার পঠিত:

 নূরজাহান নীরা |

ফেব্রুয়ারী মাস।বাঙালি জাতির এক গৌরবের মাস।আত্মপ্রত্যয়ের মাস।উজ্জীবিত হওয়ার মাস।১৯৫২ সালের এই মাসে বাঙালি জাতি তার মায়ের মুখের ভাষাকে রক্ষা করার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিলেন সে দিন।রাজ পথের সেই রক্তে লেখা আজকের বর্ণমালা অ আ ক খ।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই পাকিস্তানের শাসকরা ঘোষণা করেছিলেন উর্দুকে রাস্ট্রভাষা করার জন্য। বাঙালি জাতি সেদিন জানিয়ে দিয়েছিলেন, উর্দু না,’রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই ‘।শুরু হলো আন্দোলন। ১৯৪৮ সালে করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভার বৈঠকে রাস্ট্রভাষা কি হবে আলোচনা হয়,সে সভায় মুসলিমলীগ নেতারা উর্দুকে রাস্ট্রভাষা করার পক্ষপাতী ছিলেন।তখন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমুদ্দিন মজলিস এর প্রতিবাদ করেছিলেন এবং দাবী করেছিলেন উর্দু এবং বাংলা দুই ভাষাকেই রাস্ট্রভাষা করা হোক।কারণ,পাকিস্তানের সংখ্যাগুরুর ভাষা হলো বাংলা।সে বছর ১৯ শে মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এক সভায় ঘোষণা দিলেন,উর্দুই হবে একমাত্র পাকিস্তানের রাস্ট্রভাষা।সেখানে ছাত্ররা তার মুখের উপর প্রতিবাদ করেন।চিৎকার করে উঠেন,রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই, রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই।আন্দোলন হতে থাকে বেগবান, যদিও সে দিনের পর থেকে জিন্নাহ যতদিন বেঁচে ছিলেন আর কখন উর্দুকে রাস্ট্রভাষা করার দাবী করেননি।১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তেমন আর কোন আন্দোলন হয়নি।১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয় আবার আন্দোলন। ৪ ফেব্রুয়ারী হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আর সাধারণ মানুষের এক বিশাল মিছিল বের হয় ঢাকার পথে।২০ শে ফেব্রুয়ারী এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।১৪৪ ধারা জারি করা ২১শে ফেব্রুয়ারী।১৪৪ ধারা ভেঙেই রাজ পথে নেমে আসেন বুলেটের নল অগ্রাহ্য করেই। পাকিস্তানি পুলিশ নির্বিচারে চালায় গুলি।শহীদ হন,সালাম,জব্বার,রফিক, শফিক,বরকত আহত হন অনেকে।কিন্তু শাসকের বুলেট আন্দোলন থামাতে পারেনি।মাতৃভাষার জন্য ঝরাতে হয়েছে রক্ত,দিতে হয়েছে জীবন,যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।মাতৃভাষা আন্দোলনের সেই পথ ধরে এসেছিল উনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সেই ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। আর এই বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা।২১শে ফেব্রুয়ারীকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারাদেশে পালন করা হতো।কিন্তু আজ ২১শে ফেব্রুয়ারীকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।শ্রদ্ধায় স্বরণ করা হয় ভাষার জন্য জীবন দেওয়া শহিদদেরকে।আর এই বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করার প্রথম সফল উদ্যোক্তরা হলেন, কানাডার বহুজাতিক ও বহুভাষিক মাতৃভাষা প্রেমিক গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী প্রথমে ১৯৯৮ সালের ২৯ শে মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নামে একটি দিবস ঘোষণার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।তারা বলেন,বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষাকে রক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জীবন দিয়েছেন। তাদের সে লড়াই ছিল,ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ফলে মাতৃভাষা দিবস দাবীটি খুবই ন্যায়সংগত।সেই প্রস্তাবনার চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন সাত জাতি ও সাত ভাষার ১০ জন সদস্য। সেই গোষ্ঠীতে কানাডা প্রবাসী আব্দুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম নামে দুজন বাঙালিও ছিলন।এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেওয়া হয়।এত ত্যাগের অর্জন এই বাংলা ভাষা। অনেক গর্বের এই বাংলা ভাষা। এই অর্জন এই গর্বের পরিপূর্ণতার জন্য দাপ্তরিক সকল কাজে বাংলা ভাষাকে চালু করা দরকার। তাতে বাংলা ভাষার মর্যাদা আরও বাড়বে।




এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ




স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২    বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।

 
Theme Developed By ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!