বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, যে জনপ্রতিনিধি মানুষের সেবা করতে যেয়ে সম্পদ কমে যায়, সম্পদ বাড়ে না সেই তো জনপ্রতিনিধি। আর যে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা না করে সম্পদ আহরন করে সম্পদের পাহাড় গড়ে সেই জনগনের জনপতিনিধি হতে পারে না। আর যে জনপ্রতিনিধি কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, হাওড় বাওড় দখল করে না সেইতো সেবক। আর যে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে বাহিনী তৈরী করে হাওড়, বাওড়, হাট, ঘাট মাঠ দখল করে সে আর যাই হোক জনগনের বন্ধু হতে পারে না এরা সমাজের অশুভ শক্তি। তাই এসব অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে ভোটের মাধ্যমে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঘিবা মাদ্রাসায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় ঘিবা মাদ্রাসায় আওয়ামীলীগ নেতা সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান এর নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটন বলেন, আজ আমরা এই সমাজকে কলুষিত মুক্ত করার জন্য এমন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করব যে, সেই জনপ্রতিনিধি কোন মানুষের অনিষ্টের কারন না হয়। সে যেন মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে কাজ করতে পারে। আপনারা জানেন আজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত মিজানুর রহমান মানুষের সেবা করে নিজেতো কোন সম্পদ বানাতে পারেনি বরং তার পৈর্তৃক ১৫ বিঘা জমি বিক্রি করেছে। নিজের চিকিৎসার জন্যও সে কোন সম্পদ অর্জন না করায় তার অনেক কষ্টে চিকিৎসা করতে হয়। আর তার বিরোধি বিদ্রোহী প্রাথী হিসাবে যে মফিজুর রহমান নির্বাচন করছে আপনারা জানেন সে তার নিজ নাম পর্যন্ত স্বার করতে পারে না। এই ইউনিয়ন এর লোক বলেছে যে আপনি চেয়ারম্যান হয়ে কাজ করবেন কি ভাবে অনেক স্বার করতে হয়; উত্তরে তিনি বলেছেন আমি টাকা দিয়ে লোক রেখে নিব স্বার করার জন্য। তাহলে আপনারা বলেন এই লোকটি কি ভাবে মানুষের সেবা করবে। আজ সে চেয়ারম্যান না হয়েও সে এই সভ্য সুন্দর শার্শার অহংকার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে গড়ে তুলেছে একটি বাহিনী। আর সেই বাহিনী দিয়ে পরিচালিত হয় এই জনপদের মানুষকে শোষন। সে হাট,ঘাট, হাওড়, বাওড় ও বালু উত্তোলন করে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। জনপ্রতিনিধি না হয়েও এই লোকটি এসব অপরাধের সাথে জড়িত তাহলে সে নির্বাচিত হয়ে কি করবে কি ভাবে মানুষের সেবা করবে। তাই আপনাদের যারা ভুল বুঝচ্ছে তাদের কথায় কর্নপাত না করে আপনারা এই সহজ সরল মানুষটিকে সন্মান মর্যদা দিয়ে আবারও নির্বাচিত করেন। আর যাই হোক সে কারো ঘাড়ে লাঠি মারবে না। আর যদি ভুল করে আপনারা ওই মুর্খ লোকটিকে নির্বাচিত করেন তাহলে বুঝবেন আপনারা কি ভুল করেছেন?
মেয়র লিটন বলেন, আজ আমি যেখানে প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবারের কাছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছি আর সেখানে এই জনপদের একজন বিত্তবান পরিবার থেকে আসা ুদার্থ মানুষ বিএনপির হাতে আওয়ামীলীগকে তুলে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনাদের কাছে আমি অনুরোধ করব আগামি ২৮ তারিখের নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে দাত ভাঙ্গা জবাব দিবেন ওই আনরস প্রতীকের লোকটিকে।
যে জাতি এই নৌকার জন্য একটি স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্র পেল সেই জাতির মধ্যে থাকা এখনো কিছু পাকিস্তানী ভাবধারার মানুষ আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আর তখন এই ষড়যন্ত্র কারিরা তা নস্যাৎ করতে সুকৌশলে কাজ করছে। আপনারা সজাগ থাকুন কোন রকম কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে কাউকে ভয় না পেয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শান্তিতে থাকুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, বাহদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলী, বেনাপোাল ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা ,আওয়ামীলীগ নেত্রী খাদিজা বেগম আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজুর রহমান, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল প্রমুখ।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।