বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
সুপরিকল্পিত ভাবে মানব পাচার মামলা দিয়ে অবৈধ ফায়দা লুটতে যেয়ে ফেঁসে যেতে চলেছে এক নারী। বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের মর্জিনা বেগম যে বাড়িকে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির মালিক বিল্লাল হোসেন সহ তাদের ৫ ভাই এর নামে দিয়েছিল স্বামীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে এমন একটি মিথ্যা মামলা। যা যশোর সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। এদিকে মর্জিনা বেগমের স্বামী মোহাম্মাদ আকবর হোসেন বৈধ পথে বিএফ ০৩১২৯১৪ নং পাসপোর্ট এর মাধ্যেমে ভরত গমন করেছে গত ২৬/০৯/১৬ ইং তারিখে। ভূয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে বিল্লাল হোসেন গংদের হয়রানি করায় মর্জিনা বেগম এর নামে বিল্লাল হোসেন মানহানির মামলা করেছে যশোর আদালতে।
মর্জিনা বেগমের স্বামী আকবর হোসেন ও তার মা তফুরন বেগম বিল্লাল হোসেনের কাছে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি বিক্রি করে ২০১৬ সালে। মানবিক কারনে ভাড়াটিয়া হিসাবে ওই পরিবারকে বিল্লাল ভাড়াটিয়া হিসাবে ওই জমিতে বসবাস করতে দেয়। দীর্ঘ দিন পর এক শ্রেনীর কুচক্রী মহলের ইন্ধনে মর্জিনা বেগম নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে বিল্লাল হোসেনের পরিবারকে। জোর করে জমি লিখে নেওয়া সহ নানা ধরনের অপপ্রচার করে কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে। সর্বোশেষ আকবরের স্ত্রী যশোর আদালতে স্বামীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে বলে একটি মামলা দায়ের করে বিল্লাল গংদের বিরুদ্ধে। যা যশোর সিআইডি পুলিশে তদন্তাধীন রয়েছে। তবে আকবার হোসেন গত ২৬/০৯/২০১৬ তারিখে ভারতে গিয়েছে পাসপোর্ট এর মাধ্যেমে যার প্রমান পত্র মেলায় বিল্লাল হোসেন বাদি হয়ে মানহানির মামলা দায়ের করে মর্জিনা বেগমের নামে।
এ বিষয় মর্জিনা বেগম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের উভয়ের মধ্যে মিলমিশ হয়ে গেছে। আমি মামলা তুলে নিব। আমার স্বামী ভারতে আছে, ভালো আছে। আমার সাথে তার নিয়মিত কথা হয়। তবে কেন মামলা করলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ওদের অত্যাচারে সে ভারতে গেছে। কি কি অত্যাচার করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি বাদ দেন আমরা মিলমিশ হয়ে গিয়েছি।
বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি বৈধ টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে তাদের ভাড়াটিয়া হিসাবে আমার বাড়িতে াকতে দিয়েছিলাম মানবিক কারনে। আর তারা আমার নামে ওই জমি দখলের পায়তারা করে নানা ভাবে হয়রানি করে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিযে সন্মানের হানি ঘটিয়েছে। আকবর বৈধ পথে পাসপোর্ট এর মাধ্যেমে ভারত গমন করেছে তার যথেষ্ট প্রমান আছে। আমার নামে মানব পাচার এর মিথ্যা মামলা দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছে এবং আমি যথেষ্ট হয়রানি হয়েছি।
যশোর সিআইডি ইন্সপেক্টর মানিক গাইন বলেন, এধরনের একটি মানব পাচার মামলার তদন্ত আমি করছি। তদন্ত শেষে সব মুল রহস্য জানা যাবে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।