বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস মহামারি ঠেকাতে সারাদেশের ন্যায় বেনাপোলও চলছে কঠোর লকডাউন। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি সহ সকল ধরনের নিরাপত্তা কর্মীরা মাঠে নেমেছে এবং মাইকিং করা হচ্ছে ঘরে থাকার জন্য। ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মধ্যে দিয়ে চলছে লকডাউন সফলের। সবকিছু বন্ধ রেখে ভারত থেকে আমদানি পণ্য আসছে বাংলাদেশে। স্বাস্থ্যবিধিরও তেমন কোন বালাই নেই ওই সব আমাদনি পণ্য বহনকারী চালক ও হেলপারদের। ভরা কলস ফুটো করে বেনাপোলে লকডাউন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
সকাল থেকে বেনাপোল বাজারে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে গত দুই দিনে। কিন্তু দেশে লাকডাউন চৎপরতা চললেও ভারতীয় নাগরিকদের অবাধে প্রবেশে লকডাউন ও করোনা সংক্রামণ রোধে কতটুকু ফলপ্রসু কাজ হবে বলে অনেকে প্রশ্ন ছুড়ছেন ? প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ১০০০ হাজার চালক ও হেলপার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের বেনাপোল এলাকায় তেমন কোন স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা যায় না। এরা বাংলাদেশের এপারে বেনাপোলে হোটেল রেষ্টুরেন্ট খোলা না পেয়ে একাধিক বার কার পাশ নিয়ে যায় ওপারে খাবার খেতে । আবার কেউ কেউ যায় বাজার আনতে এপারে রান্না করে খেতে। এদের অবাধ যাতায়াত রোধে প্রশাসনের কোন নজরদারী নাই।
ভারতীয় ট্রাক চালক নজরুল ইসলাম বলেন সে বারোদিন আগে ভারতের পলাশী থেকে বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে এসেছে। তার পণ্য আনলোড করতে অধিক সময় লাগাতে তাদের খুব অসুবিধা হয়েছে। বেনাপোলে হোটেল রেষ্টুরেন্ট খোলা না থাকায় বার বার ভারতে যেতে হয়েছে। সেখানে বাজারের মানুষের সাথে মেলা মেশাও হয়েছে। আমরা বাধ্য হয়ে খাবার আনতে যাই। চালক ভজন মন্ডল বলেন, আমরা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর খাবার সংকটে ভুগি। তারপর বাধ্য হয়ে ওপারে যেয়ে বাজার করে এনে বেনাপোল ট্রাক টামিনাল চত্বরে রান্না করে খাই। এছাড়া নির্দিষ্ট কোন বাথরুম না থাকায় আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নীচে যত্র তত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া কাজগুলো করতে হচ্ছে।
বেনাপোল পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা বলেন, ভরা কলস ফুটো করে চলছে লকডাউন। ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার খানেক ট্রাক চালক ও হেলপার আসে। তারা এখানে এসে বার বার ওপার এপার করায় করোনা জীবানু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।স্থানীয় আলমীগীর হোসেন বলেন ভারতীয় চালকরা যে পিপি পরে আসে সে পিপি পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়না। তারা ওই পিপি যেখানে সেখানে ফেলে রেখে ট্রাক নিয়ে চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহার কারি সিএন্ড এফ মালিক আব্দুল মুন্নাফ বলেন, লকডাউন চলাকালীন কিছু দিন আমাদানি রফতানি বন্ধ করা প্রয়োজন। তা না হলে ভারতীয় করোনা জীবানুর নতুন ধরন বেনাপোল দিয়ে প্রবেশ করে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ছড়াতে পারে।
এ বিষয় কাস্টমস এর রাজস্ব সহকারী শামিমুর রহমান বলেন, রাজস্ব বন্ধ হয়ে গেলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে পণ্য লোড আনলোড করছি।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।