মোঃ আসাদুজ্জামান আশা
বেনাপোল স্থল বন্দর নিয়ে চলছে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। দেশের এই বৃহৎস্থল বন্দরকে নাম মাত্র একটি স্থল বন্দর রাখার জন্য বড়সড় দাবার চাল চালছে উভয় দেশের একটি তীè বুদ্ধির কুচক্রী মহল। এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহলের বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকায় ও ভারতের পেট্রাপোল এলাকায় রয়েছে একটি শক্তিশালী বাহিনী। এরা ভারত থেকে আমদানি পণ্য চালানের মধ্যে অবৈধ ভাবে পাঠানো মদ, গাজা, শাড়ী, থ্রিপিস, কসমেটিক্স, ঔষধ, কারেন্ট জাল, ভায়াগ্রা জাতিয় পাউডডার নামানোর কাজে ব্যস্ত থাকে বন্দর এলাকায়। ফলে কাস্টমস বা অন্য কোন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আমদানি পণ্য চালানের সাথে এসব পণ্য আটক হলে আমাদনি কারক ও সিএন্ডএফ এর লাইসেন্স বাতিল করে কাস্টমস কর্মকর্তারা। আবার এত নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কি ভাবে বের হয়েছিল শুল্ক ফাকি দিয়ে ৩৯ টি ট্রাক। এছাড়া কি ভাবে হারিয়ে গেল এই বন্দর থেকে ১৭,৯১,৩২০ মেট্রিক টন পাথর। আবার এসব চালান ভারত থেকে আসার সাথে বেনাপোল স্থল বন্দর ও কাস্টমস এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রায় ভারত থেকে আমদানি পণ্য চালানের ফেব্রিক্স ও কাঁচামালের সাথে আসছে ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক। আবার শুল্ক ফাঁকি দিয়েও বের হয়ে যাচ্ছে অনেক আমদানি পণ্য গাড়ি। এইতো সম্প্রতি ৩৯ টি ট্রাক বেনাপোল রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বের হওয়ার ১ দিন পর কাস্টমস কর্তৃপরে টনক নড়ে। কি ছিল ওই ৩৯ টি ট্রাকে? সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলছে তাতে কাঁচামাল ছিল। কিন্তু বার বার এই বন্দরে ফেনসিডিল, মদ, গাজা, ঘোষনা বহির্ভুত অন্যান্য পণ্য আটক হওয়ায় গুঞ্জন রয়েছে ওই ৩৯ টি ট্রাকে ছিল মাদক এর বড় চালন। কাস্টমস এর সাথে জড়িত না হলে কি ভাবে বের হলো. আবার একদিন পর কি ভাবে তার শুল্ক আদায় হলো? কি পণ্যর শুল্ক আদায় হলো? আবার কাস্টমস এর সাতে আতাত না হলে লাইসেন্স হেল্ড অব এর এক মাসের মধ্যে কি ভাবে ফেরত পেল ওই লাইসেন্স? এছাড়া আমদানিকৃত প্রায় ১৭,৯১,৩২ মেট্রিকটন পাথর বন্দর থেকে হারিয়ে যাওয়ার ও খবর বাতাসে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। ওই পাথরের সাথে নাকি কাস্টমস এর বড় কর্মকর্তার ভাই জড়িত।
গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যেমে আমদানিককৃত ডেনিম ফেব্রিক্স এর ২টি চালান বহনকারী ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, বিস্ফোরক দ্রব্য, সিগারেট, কারেন্ট জাল, শাড়ি থ্রিপিস সহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপ। এ ঘটনার সাথে ভারতীয় ট্রাক চালকরা সরাসরি জড়িত থাকলেও কেন তাদের আটক না করে ছেড়ে দেওয়া হলো ? এই পণ্য কারা পাঠিয়েছে কারা বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে নামিয়ে নিবে এসব জিজ্ঞাসাবাদ না করে ভারতীয় ট্রাক চালকদের কেন ছেড়ে দেওয়া হলো? তবে কি এর সাথে বেনাপোল স্থল বন্দর ও কাস্টমস এর অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত? এসব অবৈধ পণ্য আটকের দায়ে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে দেওয়ার জন্য শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্র“প নামে দুটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে কাস্টম কর্তৃপ।
এর আগে বেনাপোল বন্দরের কাঁচামালের ইয়ার্ড থেকে আমাদনিকৃত ক্যাপসিগাম এর চালানের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ফেনিসিডিল সহ প্রায় কোটি টাকার অবৈধ পণ্য।
এ ভাবে বেনাপোল বন্দর থেকে বার বার বৈধ আমদানি চালান পণ্যর মধ্যে থেকে অবৈধ মাদক এর চালান উদ্ধার হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়িরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
ঢাকার ফ্যাশান লিঃ এর ম্যানেজার মাসুদ করিম জানান, বেনাপোল দিয়ে ভারতের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। এবং সময়ও খুব কম লাগে। তাই এ পথে আমদানি করতে ব্যবসায়িরা স্বাচ্ছন্দ মনে করে। কিন্তু সম্প্রতি যে ভাবে চোরাচালানিদের জন্য ব্যবসায়িরা হয়রানি হচ্ছে তাতে বেনাপোল বন্দর থেকে চলে যেথে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়িরা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ্আ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন প্রকৃত অপরাধিরা চিহিৃত হচ্ছে না। এরা বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে আর হয়ারনি হচ্ছে সিএন্ডএফ ও আমদানিকারকরা। বেনাপোল সিএন্ডএফ আ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, এক শ্রেনীর অসাধু লোভি ট্রাক চালকদের সাথে যোগাযোগ করে এদেশের কিছু চোরাচালানিরা এসব পণ্য আনছে। আর হয়রানি হচ্ছে ব্যবসায়িরা। বিষয়টি দেখার জন্য তিনি এনবিয়ার চেয়ারম্যান এর হস্তপে কামনা করেন।।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ ভুইয়া বলেন, যে সকল আমাদনি পণ্য চালানের সাথে অবৈধ পণ্য আসছে সেসব বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। অবৈধ পণ্য রোধ করতে সকল ব্যবসায়িদের সজাগ থাকতে হবে এবং সকলকে সততা নিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।