বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
আবারও বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে ২৬ কেজি ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস। মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে ভারত থেকে ভায়াগ্রার এ চালানটি নিয়ে আসে আমদানিকারক যশোর মামনি এন্টারপ্রাইজ।যার সিএন্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের আমিন ইমপোর্টস এান্ড একক্সপোর্টস। তবে কোন এক রহস্যর কারনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বুধবার দুপুরের দিকে ভায়াগ্রার এ চালনটি আটক হয়। বেনাপোল কাস্টমস বন্দরকর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে পণ্য চালানটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বন্দরের সহকারী পরিচালাক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার ভায়গ্রা চালান আটকের কথা শিকার করেছেন। এর আগে গত ২০ জুন বিকালে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর পণ্যগার থেকে ভায়াগ্রা চালানটি জব্দ করে কাস্টমস সদস্যরা। কাস্টমসের ল্যাবে পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় ভায়াগ্রা নিশ্চিত হয় কাস্টমস সদস্যরা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, গত ৩১ মে আমদানিকারক মটরপার্টস অ্যান্ড আদার্স ঘোষণায় ভারত থেকে ৩০১ প্যাকেজ পণ্য আমদানি করে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর পণ্যগারে রাখেন। পরবর্তীতে পরীক্ষায় দেখা যায়, ৩০১ প্যাকেজের মধ্যে ১১৪ নম্বর প্যাকেজে পাউডার জাতীয় পণ্য ২৬.২১ কেজি রয়েছে। পরে সেটি কাস্টমস হাউজের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করে ভায়াগ্রা শনাক্ত হয়। আমদানিকৃত পণ্যটি যেহেতু আমদানি নিষিদ্ধ সেহেতু জনস্বার্থে নিরাপত্তার জন্য ৪২ নম্বর পণ্যগার থেকে বন্দরের অনুমতি নিয়ে কাস্টমসের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান কাস্টমসের এই কর্মকর্তা।
বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, কাস্টমস হাউজে প্রাথমিক পরীক্ষায় ভায়াগ্রা সনাক্ত হয়েছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, এক ধরনের দুর্নীতিবাজ চোরাচালান কারবারি ব্যবসায়ী সেজে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ পথে মিথ্যা ঘোষণায় ভায়াগ্রা পাচার করে আসছে। এর আগে ২০১৯ সালে বেনাপোল বন্দরে সাড়ে ১২ কোটি টাকা মূল্যের আড়াই মেট্রিক টন ভায়াগ্রা আটক করে কাস্টমস। তবে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় বৈধ পথে থামেনি ভায়াগ্রা আমদানি।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।