বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
নির্বিঘেœ হাঁটাচলা করতে কিংবা জনচলাচলের জন্য সড়কে ফুটপাত রাখার বিধান রয়েছে আইনে। তবে কতফুট ফুটপাত রাখতে হবে সে বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই । তবে বেনাপোল বাজার থেকে শুরু করে চেকপোষ্ট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে ফুটপাত রয়েছে জনচলাচলের জন্য। কিন্তু এর ৬০ শতাংশ ফুটপাত অবৈধ দখলে চলে গেছে। শুধু ফুটপাত নয় কোথাও কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়ক গিলে খেয়েছে অবৈধ দখলদাররা। বিশেষ করে সড়কের পাশে দোকনাপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হকাররা দখল করে রেখেছে ফুটপাত। কোথাও কোথাও ফুটপাত দখল করে চলছে নির্মানসাগ্রীর ব্যবসা। এমন পরিস্থিতীতে বন্দর নগীর জনচলাচলের ফুটপাত যেন জনভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
বেনাপোল বাজারের প্রান কেন্দ্র কাচবাজার ও মাছ বাজার। সেখানে প্রবেশের আগে ভ্যান, ইজিবাইক কমপে ৩ টি লাইন করে সড়ক দখল করে বানিয়েছে স্ট্যান্ড। এরপর ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজার, সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে হকাররা। প্রায় মাঝে মধ্যে এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। বেনাপোল চেকপোষ্ট ও একটি জনচলাচলের জন্য গুরুত্বপুর্ণ স্থান। এখানে ফুটপাত দখল করে ফল, সিঙ্গাড়া পুরি, চা, ডাব, কাপড় সহ নানাবিধ দ্রব্য বিক্রি করে মানুষ চলাচলের অনুপযোগি করে তুলেছে। মাঝে মধ্যে বেনাপোল পৌরসভা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিলেও আবার যা তাই হয়ে যায়।
এ বিষয়ে বেনাপোল চেকপোষ্টের রাজা বাদশাহ মানিচেঞ্জার এর সত্বাধিকারী আবুল বাশার বলেন, বেনাপোল শহরকে জুড়ে রয়েছে রাষ্ট্রের সন্মান মর্যদা। কারন এ পথে দেশী বিদেশী পর্যটকরা যাতায়াত করে থাকে। এখানকার ফুটপাতের জন্য জনচলাচলে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কারন এই পথে পাসপোর্ট যাত্রীরা চলার সুবাদে তাদের ল্যাগেজ বহন করতে হয় ফুটপাত দিয়ে। কিন্তু ফুটপাতের উপর দোকান থাকার জন্য তাদের চলতে হয় অতি কষ্টে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই ফুটপাত দখলদাররা ও শক্তি শালি। তাদের কিছু বলার নেই। আমার নিজের মানিচেঞ্জার এর সামনে ও রয়েছে পানের দোকান, ফলের দোকান, জুতা শেলাই ও কাপড়ের দোকান। এদের কিছু বলতে গেলে তারা হুমকি ধামকি দেয়।
এ বিষয় বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে আমরা পৌরসভা থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামি। কিছুদিন ভালো থাকে। আবার যা তাই। বিষয়টি থানা প্রশাসনকে এগিয়ে এসে পৌরসভাকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি দাবি জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্বরত এস আই হান্নান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।