বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে ভারতীয় এক ট্রাক হেলপার এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্দরের ৩১ নং কাঁচামালের ইয়ার্ড থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার সময় ভারতীয় ট্রাক হেলপার লিনগালা নারসিমহোলা (৪৩) এর লাশ গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় তার নিজ ট্রাকের কেবিন থেকে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। ভারতীয় ওই গাড়ি (গাড়ির নাং এপি ২৪টিসি ৩৪৮৮)টি গত ১৫ জানুয়ারী বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে আসে। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে না সে নিজে আত্নহত্যা করেছে এ নিয়ে চলছে বন্দর এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা। ঘটনাস্থল যশোর নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল স্থল বন্দর এর উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার এবং পোর্ট থানা ওসি মামুন খান পরিদর্শন করেছেন।
লিনাগালা নারসিমহোলার বাড়ি ভারতের অন্ধপ্রদেশের ধানাপল্লী ওয়ারংগাল গ্রামে।
বেনাপোল বন্দরে কর্তব্যরত আনসার এর পিসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর্তব্যরত আনছার সদস্যদের মাধ্যেমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি সে তার নিজ ট্রাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। পরে থানা ও বন্দর কর্তৃপকে আমরা বিষয়টি অবহিত করি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, গত ১৫ জানুয়ারী ভারত থেকে ১১ টি ট্রাকে বিস্ফোরক আসে বেনাপোল বন্দরে। এই সব ট্রাকের একটি ট্রাকের হেলপার ছিল নারসিম হোলা।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান বলেন, ধারনা করা হচ্ছে কোন অজ্ঞাত কারনে সে গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। ওই গাড়ির চালক গুরুগু পোচায়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তর জন্য যশোর জেনারেল হাসাপাতালে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় একটি সুত্র না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ভারতীয় ট্রাক চালকদের মাধ্যেমে বাংলাদেশী এক শ্রেনীর অসাধু চক্র স্বর্ণ, ডলার, পাচার করে এবং ভারত থেকেও নানা ধরনের পণ্য নিয়ে আসে অবৈধ ভাবে। যা বন্দরের কিছু অসাধু লোকের যোগসাজসে বন্দর থেকে সু-কৌশলে নিয়ে যায় ওই চক্র। এসব বিষয়গুলিও তিয়ে দেখতে হবে; যে তাকে হত্যা করা হয়েছে না সে আত্নহত্যা করেছে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।