বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
দুর্নীতিবাজ আমদানি কারকদের জন্য বেনাপোল কাস্টমস আমদানিকৃত কাঁচা পন্য সন্ধ্যা ৬ টার পর শুল্কায়ন না করায় ব্যবসায়িরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ভারত থেকে যে সব পন্য আমাদানি হয় এর মধ্যে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক কাঁচা পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এসকল পণ্য দ্রুত খালাস করে গন্তব্যে পাঠানোর জন্যও রয়েছে সরকারের নির্দেশনা। আমদানিকৃত কাঁচা পণ্যর মধ্যে রয়েছে পিয়াজ, রসুন, কাচামারিজ, আদা, জিরা, ফল, মাছ সহ নানা ধরনের পণ্য।
হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার থেকে সন্ধ্যা ৬ টার পর কাচা মালের আমদানিকৃত পণ্যর চালান শুল্কায়ন করবে না বলে জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যবসায়িরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। কারন পচনশীল এসব পণ্য ভারত থেকে এসে যদি সময় মত খালাস করা না যায় তবে পচে নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানায় বেনাপোল বন্দর এর আমদানি কারন হিমেল এন্টার প্রাইজের মালিক রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, ভারত থেকে কাচাপণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে অনেক সময় সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। তারপর কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সময় লাগে। এসব কাচাপণ্য দীর্ঘদিন এভাবে শুল্কায়ন হয়ে আসছে। হঠাৎ করে বেনাপোল কাস্টমস ঘোষনা দেয় কাচা পণ্য সন্ধ্যা ৬ টার পর শুল্কায়ন হবে না।
আমাদানি কারক মনিরুজ্জামান বলেন, যে সব সিএডএফ এবং আমাদানি কারক পণ্য আমদানিতে অনিয়ম করে তাদের প্রতি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু যারা প্রকৃত ব্যবসায়ি তাদের সাথে যদি এরকম আচারন করা হয় তবে আমদানি কমে যাবে। সরকারও হারাবে রাজস্ব।
বেনাপোল বন্দরের একজন ট্রাফিক পরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাস্টমস এর এরকম হঠকারি সিদ্ধান্তে ব্যবসায়িরা আমদানি করতে আগ্রহ হারাবে। কারন পচনশীল পণ্য বন্দরে প্রবেশ করলে তা দ্রুত খালাস করতে হবে এরকম নির্দেশনা সরকারের রয়েছে।
কাস্টমস এর রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষ যে ভাবে নির্দেশনা দেন সে ভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।