বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল পৌর কাউন্সিলার রাশেদ আলীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করেছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। শুক্রবার গভীর রাত্রে তাকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী থেকে আটক করেছে।
রাশেদ আলী বেনাপোল দিঘিরপাড় গ্রামের আক্তার হোসেন এর ছেলে।
রাশেদ এর স্ত্রী জানায়, রাশেদ বেনাপোল স্থল বন্দরের ৯২৫ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের একজন বৈধ সাধারন সম্পাদক। এবং বেনাপোল পৌরসভার ৫ নং দিঘিরপাড় ওয়ার্ড এর কাউন্সিলার। তাকে জোর করে ২০১৮ সালে স্থল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক অফিস থেকে বোমা মেরে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে চেষ্টা ব্যার্থ হয়। গত ২৮ মার্চ বেনাপোল স্থল বন্দরের বাদপড়া শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায় নিয়ে বন্দর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরন এর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় রাশেদ আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। সেই মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। রাশেদকে কারা আটক করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মনে হয় ডিবি পুলিশরা আটক করেছে।
কাউন্সিলর রাশেদ আলীর মা জানায় তার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। সে স্থল বন্দরের শ্রমিকদের সাধারন সম্পাদক ছিল। তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল গত ৪ বছর আগে। সেই থেকে সে বাড়িতে থাকে। বেনাপোল বন্দরে সে যায় না।
বেনাপোল স্থল বন্দরের দুই পক্ষের ককটেল বিস্ফোরনের ঘ্টনায় গত রাত্রে আরো ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সাবেক শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান রয়েছে। আরিফ জানায় বন্দরের গন্ডোগোল এর বিষয় নিয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে রাজনৈতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কোন প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে এনে থাকতে পারে।
পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত )গোলাম রসুল বলেন, এদের যাচাই বাছাই করা হবে এ হামলার সাথে জড়িত আছে কি না।
এ বিষয় জানতে চেয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর ওসি রুপণ কুমারকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। ডিবি এস আই শাহিনকে ফোন করলে তিনি বলেন এখন কাজে আছি পরে জানাব।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া আনঅফিসিয়াল ভাবে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।