বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
মহামারি করোনা প্রার্দুভাব বেড়ে যাওয়ায় আমদানি পণ্য বাহি ভারতীয় ট্রাক চালকরা পড়েছে বিপাকে। দোকানপাঠ হোটেল রেষ্টুরেন্ট খোলা না থাকায় টাকা থাকলেও খাবার পাচ্ছে না। ওপার থেকে আমাদনি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে খাবার অভাবে আছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা। তারা দাবি করে তাদের জন্য অন্তত টার্মিনাল এলাকার দুই একটি হোটেল খোলা রাখার জন্য।
সোমবার রাত ৮ টার সময় ভারতীয় ট্রাক চালকরা দল বেধে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সময় এসব অভিযোগ করেন। অশোক কুমার নাথ বলেন, আমরা ওপার থেকে এপারে ট্রাক নিয়ে আসি। এখানে পণ্য আনলোড করতে দুই থেকে ৭ দিন লেগে যায়। আবার অনেক গাড়ি আনলোড করতে মাসের ওপরেও সময় লাগে। আমরা এপার এসে খাবার পাচ্ছি না। করোনার জন্য সব দোকান হোটেল বন্ধ রাখায় আমরা না খেয়েতো বাঁচতে পারব না। তাই বাধ্য হয়ে দেশে চলে যাচ্ছি আবার সকালে আসব।
বেনাপোল বন্দর এর সিএন্ড এফ কর্মচারী আব্দুর রহিম বলেন, বাংলাদেশে লকডাউন চলায় এবং করোনার প্রার্দুভাব বেড়ে যাওয়ায় দোকানপাঠ হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছে। এর ফলে ওই সব চালকরা পড়েছে বিপাকে। তাই বাধ্য হয়ে নিজ দেশে যেতে হচ্ছে।
এদিকে এলাকার সচেতন নাগরিক রতন দাশ নামে একজন ব্যবসায়ি বলেন, এরা ভারতে যাচ্ছে আসছে এতে করোনা জীবানু বেশী ছড়াতে পারে। এর চেয়ে কিছু দিনের জন্য আমদানি রফতানি বন্ধ রাখা যেতে পারে। তারপর ভারতীয় এসব চালকরা স্বাস্থবিধিও তেমন মানছে না।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার এর নিকট বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। শার্শা উপজেলা মীর আলীফ রেজার কাছে ফোন করলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।