বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোলে পৃথক অভিযানে বিদেশী তৈরী ৬টি পিস্তল ৪১ রাউন্ড গুলি এবং ৮টি ম্যাগজিন সহ ৪ জন অস্ত্র ব্যবসায়িকে আটক করেছে র্যাব ও বিজিবি। থানার পুটখালী সীমান্ত থেকে ও বেনাপোল পৌর সভার দিঘিরপাড় শাহজালাল পেট্রোল পাম্পের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে এসব অস্ত্র সহ আটক করা হয়।
বিজিবির কাছে আটককৃতরা হলো যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার মাটিকুমড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম এর ছেলে শামিম রেজা (২১) ও বাগেরহাট জেলার মোল্ল্যার হাট থানার নরসিংহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নাদিম শিকদার (৩০)। অপরদিকে র্যাবের অভিযানে আটক অস্ত্র ব্যবসায়ি হলো বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের আব্দুল কাদের এর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৮) ও একই গ্রামের আব্দুল মমিন এর ছেলে আজিজুর রহমান (২৯)।
ঝিনাইদাহ ক্যাম্পের র্যাবের নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন জানায় গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি সাপেে বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় নামক স্থানে মঙ্গলবার বিকালে শাহজালাল নামে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে ৪টি আমেরিকার তৈরী পিস্তল ৩৪ রাউন্ড গুলি ও ৮টি ম্যাগজিন সহ আব্দুল্লাহ ও আজিজুর রহমানকে আটক করা হয়। বেনাপোল পুটখালী ক্যাম্পের বিজিবি হাবিলদার জাকির হোসেন বলেন বুধবার বেলা ১ টার সময় পুটখালী সীমান্ত ইছামতি নদীর পাশ থেকে দুইটি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলি সহ শামিম রেজা ও নাদিম শিকদার নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তবে ওই এলাকার স্থানীয়রা তাদের এ অস্ত্র সহ আটক করে আমাদের কাছে তুলে দেয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার মধ্যে চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নাদিম শিকদার বলেন আমাদের ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে এ অস্ত্র দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে। আমরা কোন দিন পুটখালী সীমান্ত চিনি না। আমাদের বাগআচঁড়ার কায়বা থেকে তুলে এনে পুটখালী এলাকায় মারপিট করে অস্ত্র দিয়ে চালান দিয়েছে। আমার একটি ফিজার মোটর সাইকেল ছিল তাও কোথায় বলতে পারব না। তবে নাদিম বাগেরহাট থেকে কি জন্য এই এলাকায় এসেছে কারা তাকে ধরে নিয়ে পুটখালী সীমান্তে এসেছে এসব প্রশ্নর উত্তর চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাকে কথা বলতে দেয় নাই।
পৃথক অভিযানে র্যাব ও বিজিবির আসামি সহ অস্ত্র উদ্ধারের কথা বেনাপোল পোর্ট থানার এ এস আই মাসুম বিল্লাহ নিশ্চিত করে বলেছেন থানায় পৃথক দুটি অস্ত্র মামলাও হয়েছে। আসামিদের আগামিকাল যশোর আদালতে হাজির করা হবে বলে তিনি জানান।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।