বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজার কমিটির কার্যক্রম বিতর্কিত করতে তথ্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন বিগত কমিটির গুটিকয়েক লোকে। সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যায় আব্দুল খালেক এর কাছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পদাধিকারবলে বাগআঁচড়া বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আব্দুল খালেক।
এর আগের কমিটির সভাপতি ছিল সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল। তার আমলে ওই বাজারে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িদের হয়রানি হয় ব্যপক আকারে। বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বাজার এর ব্যবসায়িদের হয়রানি ও চাঁদবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে মাইকিং করে উক্ত বাজার এলাকায়।
মাইকিং করার পর থেকে দীর্ঘ দশ বছর বাগআঁচড়া বাজার থেকে ল ল টাকা চাঁদা উত্তোলন কারী ও তাদের কুশীলবেরা চাঁদা উত্তোলন করতে না পেরে বাগআঁচড়া বাজার কমিটি ও কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বর্তমান বাজার কমিটির সদস্য ইউপি মেম্বার আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন ইলিয়াছ কবির বকুলের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা আমাদের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের অভিযোগ করে। এতে ব্যবসায়িরা ুব্ধ হয়েছে।
বাজারের ব্যবাসায়ি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্তমানে ভাল আছি। এর আগের কমিটির সদস্যরা অর্থাৎ বকুল বাহিনীর লোকেরা বিভিন্ন অজুহাতে বাজার ব্যবাসায়িদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করত। আমরা ওই সব সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারতাম না।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে অত্র বাজারে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ীদের উপর নির্যাতন করতো, আমি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাগআঁচড়া বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যার কারণে একটি কুচক্রী মহল বাজার কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।