বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে ছিল ভারত। ভারত বাংলাদেশের বন্ধু প্রতীম দেশ। বাংলাদেশ ভারত এর বন্ধুত্ব যে কোন প্রতিবশেী রাষ্ট্রের চেয়ে সম্পর্ক ভাল ।এই বন্ধত্বকে রোল মডেল বলা যায়। শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গস্থ বনগাঁওয়ে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের দ্বিতীয় কার্গোগেটের নির্মাণ কাজ এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন-১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০ টার সময় তিনি বেনাপোল আবাসিক ভবনে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন এর সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন স্থল বন্দর বেনাপোল নিয়ে। এসময় মেয়র লিটন বেনাপোল স্থল বন্দর ও বন্দরের আবাসিক এলাকা উন্নয়ন ও সমস্যা সমুহ তুলে ধরেন প্রতি মন্ত্রী খালিধ মাহমুদ চৌধুরীর কাছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এ সম্পর্ক শুধু বন্ধুত্বের নয়, এ সম্পর্ক ভাইয়ের সম্পর্ক। বর্তমানে দুদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় গেছে তা অনুসরণ করার মতো। এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। রক্তে লেখা সম্পর্ক অক্ষুন্ন থাকবে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ২৫ বছর মেয়াদি “মৈত্রী চুক্তির” মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের যে গোড়াপত্তন করে গেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তা আরও সুসংহত ও বহুমুখী করেছেন। তারই হাত ধরে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, ট্রানজিট সুবিধা প্রদান ও সমুদ্রসীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের সীমান্ত নীতির “প্রতিবেশীই প্রথম” নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভ্রমণ, ব্যবসা এবং চিকিৎসার জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমণ করেন। এর প্রধানতম প্রবেশদ্বার হচ্ছে বেনাপোল, আর ওপারে পেট্রাপোল।’ ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবাদানের জন্য পেট্রাপোলে আরেকটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করায় তাদের প্রতিমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সহজ করতে সহায়তার লক্ষ্যে অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতুর ভারচুয়ালি উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১২টি বন্দর চালু আছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় ও নিশিথ প্রামানিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর।