মোঃ আনিছুর রহমান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
মাদকের অপব্যবহার, অবৈধ পাচার প্রতিরোধে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদফতর, বাংলাদেশ পুলিশ,র্যাপিড এক্যাকশান ব্যাটলিয়ন র্যাব, বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্ত অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও অবৈধ মাদক ব্যবসা বা চোরাচালানের মাধ্যমে সহজে ধনী হওয়ার পিছনে ছুটছে অনেকেই। এই মাদক চোরাচালানি ব্যবসার সাথে বড় একটি চক্র বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় রয়েছে। এরা মাঝে মাঝে আটক হয় আবার আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বের হয়ে আবার সেই একই পেশায় মনোযোগ দেয়।
বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী, বারপোতা, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা ও ধান্যখোলা দিয়ে প্রায় ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করছে গাজা, ফেনসিডিল ও মদ। যারা সীমান্ত দিয়ে দেশে এসব মাদক দ্রব্য আনছে তাদের বড় একটি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা ও আইনশৃঙ্খলা রাকারী নিয়ন্ত্রন সংস্থার কিছু অসাধু লোকের সহযোগিতায় ও রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। মাদক সিন্ডিকেট যারা নিয়ন্ত্রন করে তাদের ভয়ে এলাকার সাধারন নিরিহ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না। ফলে এলাকার উঠতি বয়সী অনেক স্কুল কলেজ গামী ও যুবকরা নেশাগ্রস্থ হয়ে ধ্বংস।
এদিকে বেনাপোল সাম্প্রতিক সময়ে এতটা গাজা, ফেনসিডিল এর চোরাচালানী ব্যবসা বেড়ে গিয়েছে যে হাত বাড়ালে পাওয়া যায় এসব মাদক দ্রব্য। গত ৮ ফেব্রয়ারী সাতীরা থেকে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান আসার সময় নাভারণ এলাকায় আটক করে র্যাব। ওই চালানে ১০৮৬ বোতল ফেনসিডিল ছিল। একই দিন শার্শা ও বেনাপোল থেকে পৃথক অভিযানে পুলিশ ২১৫ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে ৫ জনকে। এর আগে ২৭ জানুয়ারী ৪ কেজি গাজা ২৪ জানুয়ারী ৩০১ বোতল ফেনসিডিল ও দুই কেজি গাজা সহ মোট ৭ জনকে আটক করে পুলিশ, বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্র“য়ারী বেনাপোলের রাজাপুর গ্রাম থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে পোর্ট থানা পুলিশ দুই মাদক ব্যবসায়িকে। এছাড়াও বেনাপোল এলাকায় চলছে খুচরা ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে রেল ষ্টেশন, নারানপুর, নামাজগ্রাম, দুর্গাপুর এলাকায় অনেকে বিক্রি করে থাকে এক শ্রেনীর অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব মাদক দ্রব্য।
বেনাপোল এলাকার সচেতন ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব রাশেদ আলী বলেন, করোনার মাঝেও থেমে নেই এসব মাদক বিক্রি। প্রতিনিয়ত ভারত থেকে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান আাসে। আর এসব চালান চলে যায় পিক আপ ভ্যান, পণ্যবাহী ট্রাক, সহ বিভিন্ন যানবাহনে দেশের প্রত্যান্তঞ্চালে। ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক ও ওয়াগনে আসে ফেনসিডিলের চালান। কয়েকবার বিজিবি ও পুলিশকে এসব চালান আটক করতেও দেখা গেছে।
বেনাপোল এর স্বপন নামে একজন সিএন্ড এফ ব্যবাসায়ি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয়। এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এর সাথে জড়িত হয়েছে নারী মাদকব্যবায়িরাও। লাভ জনক এ ব্যবসায় নারীরা তাদের স্বামীর কথামত বাধ্য হয় নিশিদ্ধ ঘোষিত মাদক ব্যবসায়। গত ২৩ জানুয়ারী বেনাপোলে ৫ কেজি গাজা সহ পারভিন ও ফাতেমা খাতুন নামে দুই জন নারী আটক হয় পুলিশের কাছে।
এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির জনৈক একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক চোরাচালানিদের সাথে কোন আপস নয়। প্রায় এসব চোরাচালানি বিজিবির কাছে আটক হলেও সীমান্তর এলাকা বড় হওয়ায় কিছু চোরাচালানি চোখ ফাকি দিয়ে যেতে পারে। তবে কোন প্রকার এসব মাদক ব্যবসায়িদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি কামাল হোসন ভুঁইয়া বলেন, আমি বেনাপোল পোর্ট থানায় সবে মাত্র যোগদান করেছি। এসময়ের মধ্যে কয়েকটি চালান আটকও করেছি। মাদক এর ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। যারা এই পেশার সাথে জড়িত তাদের চিহিৃত করা হচ্ছে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।