1. [email protected] : admin2021 :
  2. [email protected] : AKASH :
  3. [email protected] : anisur : anisur rohman
  4. [email protected] : [email protected] :
করোনায় শিক্ষাখাত পড়তে পারে হুমকির মুখে - Dainikasharalo.com
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতীয় বাইক বিক্রিতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, প্রতারিত হচ্ছে মানুষ বেনাপোলে ফেনসিডিল সহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক বেনাপোলে পৃথক অভিযানে মদ-ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ৩ ভারতে জেল খেটে দেশে ফিরল তিন যুবক ও দুই যুবতী বেনাপোল সীমান্তে ৩ কেজি ৩৫০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার শার্শায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু শার্শায় ফসলের মাটি গিলে খাচ্ছে ভাটা : প্রভাবশালী সহ জড়িয়ে রয়েছে ইউপি সদস্যরা বেনাপোল পুটখালি সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কেজি স্বর্ণসহ আটক ২ হারানো ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংশিত বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ




করোনায় শিক্ষাখাত পড়তে পারে হুমকির মুখে

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৮৩ বার পঠিত:
নূরজাহান নীরা
অনেকদিন পর যখন স্কুল খুললো, বাচ্চাদের মধ্যে যেনো এক নতুন অনুভূতি দেখা গেল।কত দিন পর ওরা পাখা মেলে হয়ত উড়তে পারবে ওদের জগতে।জানার রাজ্যে চলবে বিচরণ।বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস মনে। অভিভাবকরাও অনেকটা স্বস্তিতে।ক্লাস হলোপরীক্ষা হলো, রেজাল্ট হলো,শিশুরা নতুন উদ্যোমে আবার পড়ায় মন দিল।যদিও এর মাঝে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অনেক শিক্ষার্থী।তারা হয়ত আর কখনও স্কুলে ফিরবে না।শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘোষণা হলো স্কুল কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের।২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলো।করোনা শুরুতে ১৩ দিনের বন্ধের কথা থাকলেও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখ দেখেনি অনেক মাস। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। এর মাঝে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ক্লাসও শুরু করেন।অনলাইনে ক্লাসের জন্য দরকার স্মার্টফোন।দীর্ঘ লকডাউনে অর্থনৈতিক সমস্যা তার উপর স্মার্টফোন কেনা অনেক অভিভাবকের জন্য কষ্টের হয়ে যায়।সে সময়ে দেখা গেছে স্মার্টফোন না পেয়ে মা বাবার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে এক শিশু।তবে অধিকাংশ অভিভাবক বাচ্চাদের লেখাপড়ার কথা ভেবে কিনে দেন।অভিভাবকদের কষ্ট হলেও শিশুদের কাছে যেন মেঘ না চাইতে জল পাওয়ার মত ছিল।একটি স্মার্টফোন হাতে থাকা মানেই হাতের মুঠোয় বিশ্ব থাকা।আর ক্লাসের অবসরে সে বিশ্বে অন্বেষণে কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক। সে কৌতুহলে তারা জড়িয়ে পড়ে পাবজি,ফ্র ফায়ার এমনকি পর্ণসাইডগুলোতেও।অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পাবজি ফ্রিফায়ার বন্ধ হলেও পর্ণসাইড বন্ধ সম্ভব হয়নি।তাছাড়া ইউটিউবগুলো খুবই খোলামেলা ভিডিও দেখা যায়।যেগুলো শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। পাবজি ফ্রিফায়ার শিশুদের প্রতিবন্ধী বানিয়ে ফেলছিল।তাছাড়া দীর্ঘদিন স্মার্টফোন ফোনে চোখ রাখলে চোখের ভীষণ ক্ষতির কথ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।যেখানে স্মার্টফোন সার্বিকভাবে শিশুদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও বিপদগামী বানাতে সহায়ক সে স্মার্টফোনকে অনলাইনে ক্লাসের নামে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া কতটা যৌক্তিক, সেটা ভেবে দেখার আবেদন অনেক অভিভাবকের মত আমারও।সেই সাথে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা ভাবা উচিত।না হলে আগামীতে স্কুলে আর বাচ্চাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ সময়ে এমনিতেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।এভাবে স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষা খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে নিশ্চিত। স্কুল বন্ধ থাকলে বাচ্চারা পড়ায় অমনোযোগী হয়ে যাবে।বই বিমুখ হবে।বাড়বে আড্ডা।জড়িয়ে যেতে পারে বিভিন্ন নেশায়।সময় কাটানো কষ্টকর ঘরে।মানসিক ভাবেও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।এখনই এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে সে জায়গা থেকে উত্তরণের পথ পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
Write to Noorjahan Nira




এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ




স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২    বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।

 
Theme Developed By ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!