স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আর ঘাতকের বুলেটে বুকের তাজা রক্তে ভিজে যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শিড়ি
———-মেয়র লিটন
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, শোক থেকে শক্তি শোক থেকে জাগরন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তোমার ত্যাগ তিতিক্ষা তোমার স্বাধিনতা তোমার অর্জন তোমার সাফ্যল্য আমরা রাখব আমরন। এদেশে হাজার হাজার বছর মোঘল বৃটিশরা সাম্রাজ্য দ্বারা শোষিত হযেছে। বাঙালী নেতৃত্ব দেওয়ার শক্তি বাঙালীর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বাঙালীর নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। জাতির জনকের সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আহবানে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালী একত্রিত হয়ে তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা এবং যৌবনের শুরু থেকে জেল জলূম অত্যাচারে বাঙালীর সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্মানে যে মানুষটি অগ্রনী ভুমিকা রেখেছিলেন সেই মানুষটির আহবানে এদেশের সকল শ্রেনীর মানুষ যুদ্ধ করে লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছিলেন। সেই লাল সবুজের পতাকা আমাদের সমুন্নত রাখা আমাদের যেমন জরুরী। তেমন এমনি এই দেশের মানুষের যে স্বপ্নের উপর দাঁড়িয়ে যে মহান মুক্তিযুদ্ধ আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই স্বপ্ন পুরুন ও আমাদের জরুরী।স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আর ঘাতকের বুলেটে বুকের তাজা রক্তে ভিজে যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শিড়ি। জতির জনকের ৪৬ শাহাদৎ বার্ষিকীতে শার্শার ডিহি ইউনিয়নে শোক সভায় ও গনভোজে কথাগুলো বলেন প্রধান অতিথি হিাসবে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
মঙ্গলবার বেলা ৪ টার সময় শার্শার ডিহি ইউনিয়নের পাকসী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটন বলেন,সেই স্বাধীনতার পর জাতির জনক অনেক দক্ষতার সাথে এদেশে মানুষের শিক্ষা, অর্থনৈতিক মুক্তি, এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য আবাসন সন্মান মর্যদা সমুন্নত রাখার জন্য প্রানপণ চেষ্টা করে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সাড়ে তিন বছর এর মধ্যে জাতিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে এদেশের সেই স্বপ্নের পুরুষ সেনালী পুুরুষ যে পুরুষের জন্মে বাংলার মাটি ধন্য হয়েছিল বাংলার মাটি পবিত্র হয়েছিল,যে পুরুষের জন্মগ্রহন করায় সাহিত্য কবিতার জগৎ সমৃদ্ধ হয়েছে সকল স্তরে বাংলা ভাষা ভাষিদের বিশ্বের কাছে এক অনন্য উচ্চতায় পৌছে গেল সেই মহান পুরুষকে হত্যা করা হলো। তিনি ভারতের জাতির পিতা মহাত্না গান্ধিাকে হত্যার উদাহরণ টেনে বলেন মহাত্বা গান্ধীর হত্যা কান্ডে সে দেশের প্রধান মন্ত্রী জহর লাল নেহেরু বলেছিল মহাত্না গান্ধিকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ভারতের সকল সৌন্দর্য বিলিন হয়ে গেল। তেমনি আমার পিতা আপনার পিতা এই বাঙালিকে একটি আলাদা ভুখন্ড দিয়ে গেল যিনি তার জীবন যৌবনের শ্রেষ্ট দিনগুলি জেল খানায় কাটাল সেই জাতির জনককে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাঙালী জাতির সৌন্দর্য ও বিলীন হয়ে গেল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ভাব ধারায় দেশ পরিচালনা করা হলো। জাতির জনকের পরিবারের ত্যাগ তিতিক্ষাকে অপপ্রচারের মাধ্যেমে একটি প্রজন্মের কাছে জাতির জনকের পরিবারকে ছোট করা হলো। একটি প্রজন্মের কাছে বিশ্বের দরবারে মহান মুক্তিযদ্ধের গৌরবের সকল সৌন্দর্য ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তকে ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমকে এবং তাদের ত্যাগকে ভুলুন্ঠিত করল । তাদের সুবিধা মতো কায়দায় বাংলার মুক্তিযুদ্ধর নতুন ইতিহাস তারা তৈরী করল। এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। যে জাতিকে একটি আলাদা একটি ভুখন্ড দিয়ে গেল একটি লাল সবুজের পতাকা দিয়ে গেলেন যে জাতিকে একটি সংবিধান দিয়ে গেলেন এবং মুসলমান ধর্মালম্বীদের বিশ্ব এস্তেমার জন্য টঙ্গী জায়গা দিয়ে গেলেন সেই জাতির জনককে পরাজিত শক্তি হত্যা করে কলঙ্ক লেপন করল।
মেয়র লিটন আরো বলেন ১৯৯৬ সালের আগে প্রবীন নেতারা নির্লোভ মানুষেরা নিজেদের গরু ছাগল বিক্রি করে রাত্রে লাইট নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেয়ে বলেছিল তোমরা একটি বারের জন্য জাতির জনকের কন্যাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আন। তারা আকুতি মিনতি করে বলেছে আমরা জাতির জনকের সোনার মেয়েটি মানবিক মেয়টিকে একটি বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখে আমরা মরে যেতে চাই। আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর কাছে যেয়ে বলতে পারি বঙ্গবন্ধু আমরা তোমাকে বাঁচাতে পারি নাই তবে আমরা তোমার কন্যাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রেখে এসেছি। আমরা তোমার সাথে কখনো বেঈমানি করি নাই। জাতির জনকের কন্যাও ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাই এই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান দিয়ে ভালবেসে ভাতা চালু করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ভোর বেলায় জাতির জনককে নির্মম ভাবে হত্যা করে দেশী বিদেশী একটি আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহল। স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আর ঘাতকের বুলেটে বুকের তাজা রক্তে ভিজে যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শিড়ি। বাঙালী জাতি হারায় তার স্থপতিকে বিশ্ব হারায় এক মহান নেতাকে। খুনিদের বুটের আওয়াজ নিয়ে এসেছিল অশুভ বার্তা। বৃষ্টির মত এক ঝাক বুলেটে ঝাঁঝরা হলো জাতির জনকের কোমল বুক। এই লোকটির ছিল কঠিন স্পর্ধা, ছিল মুক্তিলাভের তীব্র তেজ, যার অঙ্গুলি হেলনে মোহিত হয়েছিল সাড়ে ৭ কোটি বঙালী। সেদিন বিপথগামী সেনা সদস্যর কেউ কেউ বাঙালী ছিল বটে, মানুষ ছিল না। ওই অমানবদের হাতেই একে একে খুন হন তিনার সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ জামাল, শেখ কামাল , শিশু রাসেল সহ ২৬ টি তাজা প্রান।
মেয়র লিটন আরো বলেন ওই ভোরে বৃষ্টি ছিল, দুঃখের বাতাস ছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। সেদিন ভোরের ভেজা বাতাস কেঁদে বেড়ায় সারাবাংলায় । ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীত সন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। ওই শোক এখন শক্তি হয়েছে ওই শোক এখন আগুন জ্বালিয়েছে তেপান্তর থেকে তেপান্তরে। ঘাতকের বুলেটে ৫৫ বছরের মহাজীবনের পরিসমাপ্তি টানলেও সেই জীবন পেরিয়েছে শত বছরে। উদযাপিত হয়েছে এরই মধ্যে বাঙ্গলী জাতির স্থপতির শততম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শেও নাম।যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনে দেশের সংবিধান ও প্রণয়ন করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেক মুজিব। শোষক আর শোষিত বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সরোয়ার হোসেন, যুবও ক্রীড়া সম্পাদক কবির উদ্দিন তোতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুস ভুইয়াম বেনাপোল পৌর যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি খাতুন,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা বিপুল, আওয়ামীলীগ নেতা আলীম রেজা বাপ্পী, বেনাপোল পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন, বেনাপোল ৯ নং পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আছাদুজ্জামান শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন প্রমুখ।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।