1. dainikasharalo@gmail.com : admin2021 :
  2. sagor201523@gmail.com : AKASH :
  3. anisurrohman2012@gmail.com : anisur : anisur rohman
  4. qtvbanglanews2018@gmail.com : sagor201523@gmail.com :
শিক্ষা অফিস থেকে ২২ জন শিকের সার্ভিস বই চুরি নাকি সরিয়ে ফেলা হয়েছে! - Dainikasharalo.com
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতীয় বাইক বিক্রিতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, প্রতারিত হচ্ছে মানুষ বেনাপোলে ফেনসিডিল সহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক বেনাপোলে পৃথক অভিযানে মদ-ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ৩ ভারতে জেল খেটে দেশে ফিরল তিন যুবক ও দুই যুবতী বেনাপোল সীমান্তে ৩ কেজি ৩৫০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার শার্শায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু শার্শায় ফসলের মাটি গিলে খাচ্ছে ভাটা : প্রভাবশালী সহ জড়িয়ে রয়েছে ইউপি সদস্যরা বেনাপোল পুটখালি সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কেজি স্বর্ণসহ আটক ২ হারানো ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংশিত বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ




শিক্ষা অফিস থেকে ২২ জন শিকের সার্ভিস বই চুরি নাকি সরিয়ে ফেলা হয়েছে!

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫১৩ বার পঠিত:

বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা উপজেলা প্রাথমিক শিা অফিস থেকে ২২ জন শিকের সার্ভিস বই চুরি গেছে। ৪৩টি সার্ভিস বই চুরি হয়ে গেলেও এক মাস পর শিা অফিসের পিছনে কিছু বই দেখতে পেয়ে খবর দিলে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২১টি সার্ভিস বই।
তবে শিকরা বলছেন, অর্থ আদায়ের কৌশল হিসেবে এ কাজ করেছে শিা অফিসার নিজেই। হারিয়ে যাওয়া সার্ভিস বইয়ের দায় কেউ নিচ্ছে না। সার্ভিস বই সংরণকারী উপজেলা শিা অফিসার নির্বিকার। তিনি থানায় জিডি করে দায় সেরেছেন। সার্ভিস বই হারিয়ে যাওয়ায় ২২ জন শিকের বেতন ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক প্রাপ্তি, চাকুরীর নিশ্চয়তা এবং স্থায়ীকরণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। সার্ভিস বই হারিয়ে যাওয়া শিকরা হতাশার মধ্যে আছেন। বিষয়টির দ্রুত সুরাহা না হলে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হতে পারে।
যশোরের শার্শা উপজেলা শিা অফিস থেকে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৩ জন শিকের সার্ভিস বই হারিয়ে যায় কবে তা কেউ জানেন না। গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে কয়েকজন শিক তাদের সার্ভিস বই খুঁজতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে ৪ নভেম্বর এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি জিডি করেন শিা অফিসার। এর কয়েকদিন পর ২১টি সার্ভিস বই পাওয়া যায় তারই অফিসের পিছনে। এখনো পাওয়া যায়নি ২২টি সার্ভিস বই। অফিসে নেই কোন সিসি ক্যামেরা।
শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিকরা বলছেন, উপজেলা শিা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম পূর্বে এই উপজেলায় সহকারি উপজেলা শিা অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে উপজেলা শিা অফিসার হয়ে তিনি পুনরায় এই উপজেলায় ফিরে আসেন ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর। আর এসেই শুরু করেন ‘টু পাইস কামানোর কাজ’। তার অযোগ্যতা, অদতা আর আকণ্ঠ নিমর্জিত দূর্ণীতির কারণে দেশের ইতিহাসে কোন সরকারি অফিসের ৪৩ জন সরকারি কর্মচারির সার্ভিস বই নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া রহস্যজনক। পরে নাকি ২১ টি বই পাওয়া গেছে শিা অফিসের পিছনে।
শিকরা বলছেন, শিকদের নবম ও দশম গ্রেড, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, দশ বছর পূর্তিতে স্কেল পরিবর্তনসহ অন্যান্য কাজে এই সকল শিকের কাছে থেকে ধার্য্যকৃত উৎকোচ আদায় করতেই শিা অফিসার সার্ভিস বই হারিয়ে যাওয়া বা চুরির নাটক সাজিয়ে থাকতে পারেন।
সরকারি চাকুরীজীবিদের সার্ভিস বই তার স্ব স্ব উর্ধ্বতন কর্তৃপরে আলমারি বা লকারে সংরণ করে থাকেন। সরকারি চাকুরীজীবিদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চাকুরীর দলিল এই সার্ভিস বই কর্তৃপ ছাড়া অন্য করো ব্যবহার বা সংরণ করার কোন সুযোগ নেই। একজন সরকারি চাকুরীজীবীর ব্যক্তিগত তথ্য, পেশাগত তথ্য, আর্থিক সুবিধাদির সকল বিবরণ সার্ভিস বইতে ধারাবাহিক ভাবে চাকুরীর শুরু হতে শেষ দিন পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অথচ শার্শা উপজেলা শিা অফিস থেকে ২২ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিকের সার্ভিস বই উধাও হয়ে যাবার পর ও জেলা প্রাথমিক শিা অফিসার যশোর বিষয়টি জেনেও এ ব্যাপারে কোন পদপে গ্রহণ করেননি। তিনি বিষয়টি গোপন রেখেছেন। উপরান্ত সার্ভিস বই হারিয়ে যাবার বিষয়টি যেন উর্ধ্বতন কর্তৃপকে জানানো না হয় সে জন্য তিগ্রস্ত শিকদের নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, শার্শা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৫টি। শিা অফিসার বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা যাকে ‘ সি­প ’ বলে এই খাত থেকে স্কুল প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চলতি বছরে আদায় করেছেন। বিদ্যলয়ের ওয়াশব্লক, রুটিন মেইন্টেনেন্স, ুদ্র মেরামত, নতুন ভবন নির্মান, রেস্ট এন্ড রিক্রেয়েশন, ভ্রমন ভাতা, স্কুল কন্টিনজেন্সি, বিজয় ও শোক দিবসের বরাদ্দসহ সকল খাতে নির্ধারিত পরিমান অর্থ নিয়েই তবে তিনি বিল ভাইচারে স্বার করেন। উপজেলায় কর্মরত সহকারি উপজেলা শিা অফিসারদের সাথে এই অন্যায় কাজ নিয়ে তার সম্পর্ক একেবারেই শীতল পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাঝে মাঝে সহকারি উপজেলা শিা অফিসারদের সাথে তার বাক বিতন্ডার খবর সবার মুখে মুখে।
উপজেলা শিা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে শিকদের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে অফিসের ও শিকদের মধ্যে কেউ এ সার্ভিস বই গুলো চুরি করেছে। সার্ভিস বই চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে গত ৪ নভেম্বর শার্শা থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপকে অবহিত করা হচ্ছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সার্ভিস বই উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান। ফান্ড পেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

 




এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ




স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২    বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।

 
Theme Developed By ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!