বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোলে আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আনন্দ শোভা যাত্রা, আলোচনা ও কেককাটার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার সময় পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বন্দর নগরী বেনাপোলের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বেনাপেল পৌর দলীয় কার্যালয়ে এসে আলোচনা শেষে শেষে কেক কাটা হয়। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুস ভুইয়া, শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, উজ্জল উপস্থিতী ও বক্তব্য রাখেন বেনাপোল পৌর কাউন্সিলার রাশেদ আলী, বেনাপোল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাহেব আলী,যুবলীগ নেতা যুবায়ের রহমান সোহেল, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান, বেনাপোল ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি রেজা উদ্দিন আশু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
অনুষ্টানে বক্তরা বলেন ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। উপস্থিত নেতারা বলেন, বেকারত্ব দুরীকরন, দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যুবসমাজকে সংগঠিত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুবলীগ প্রতিষ্টা করেছিলেন। আজ জাতির জনকের আদর্শ এবং যুবলীগকে বিতর্কীত করার লক্ষে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে বেনাপোলে পৌর যুবলীগের আর একটি কমিটি করার পায়তারা করছে। এভাবে কোন যুবলীগের সংগঠন চলতে পারে না। এয়াড়াও চলছে এই শার্শায় আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে পরাজয় করতে আওয়ামীলীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু লোক নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। যারা আনারস ও তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মাঠে নেমেছে। আমরা বলতে চাই যদি নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে চান তবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর নামে কোন পোষ্টার বেনার লাগাবেন না। আপনাদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে অনতি বিলম্বে। সে পদক্ষেপ জননেত্রী শেখ হাসিনা অতি দ্রুত নিবে। আগামী ২৮ তারিখে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পরাজয় করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা হয়। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন একজন এই জনপদের শীর্ষ জনপ্রতিনিধি আজ আওয়ামীলীগের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করছে। তিনি চোরাচালানি বিএনপির লোকজনকে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে শার্শায় সহিংসতা ঘটাচ্ছে। আপনার আনারস প্রতীকের প্রতি যখন এত দরদ তখন আপনাকে আগামি সংসদ নির্বাচনে আনারস প্রতিক হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন মেয়র আশরাফুল আলম লিটন যখন শার্শার আওয়ামীলীগের রাজনীতি আওয়ামীলীগের হাতে ফিরিয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তখন এই জনপ্রতিনিধি জামাত বিএনপির হাতে তুলে দিচ্ছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি।
অনুষ্টানটি সঞ্চলনা করেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সজল।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।