1. dainikasharalo@gmail.com : admin2021 :
  2. sagor201523@gmail.com : AKASH :
  3. anisurrohman2012@gmail.com : anisur : anisur rohman
  4. qtvbanglanews2018@gmail.com : sagor201523@gmail.com :
বাংলাদেশি অনেক তরুনী ভারতে পাচার হয়ে হারাচ্ছে সম্ভ্রম - Dainikasharalo.com
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতীয় বাইক বিক্রিতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, প্রতারিত হচ্ছে মানুষ বেনাপোলে ফেনসিডিল সহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক বেনাপোলে পৃথক অভিযানে মদ-ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ৩ ভারতে জেল খেটে দেশে ফিরল তিন যুবক ও দুই যুবতী বেনাপোল সীমান্তে ৩ কেজি ৩৫০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার শার্শায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু শার্শায় ফসলের মাটি গিলে খাচ্ছে ভাটা : প্রভাবশালী সহ জড়িয়ে রয়েছে ইউপি সদস্যরা বেনাপোল পুটখালি সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কেজি স্বর্ণসহ আটক ২ হারানো ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংশিত বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ




বাংলাদেশি অনেক তরুনী ভারতে পাচার হয়ে হারাচ্ছে সম্ভ্রম

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১
  • ৬৫২ বার পঠিত:

মোঃ আনিছুর রহমানঃ
সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক ও অস্ত্র পাচারের পর তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবসা মানব পাচার। এর একটি বড় ঘাঁটি রয়েছে বাংলাদেশের বেনাপোল,ও শার্শা সীমান্ত। আর ওপারে ভারতের পেট্রাপোল আংরাইল সীমান্ত। পাচারের শিকার অনেক মেয়ের সাক্ষাতে উঠে এসেছে তাদের যন্ত্রনা দায়ক নির্যাতনের কাহিনী। পাচার হয়ে এরা হারাচ্ছে সম্ভ্রম।

গত সেপ্টেম্বর-২০২১ মাসে ভারতের বিভিন্ন শহরে ঝুকি পুর্ন কাজ করে ২ থেকে ৩ বছর জেল খেটে দেশে ফিরেছে বেনাপোল চেকপোষ্ট হয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে ৪১ জন কিশোরী ও তরুনী। ২ সেপ্টেম্বর বেনাপোল দিয়ে ফেরত আসে ৭ জন তরুনী, ২০ সেপেম্বর ২০ জন কিশোরী ও তরুনী, ২৩ সেপ্টেম্বর ২ জন তরুনী ও ৩০ সেপ্টেম্বর আসে ১২ তরুনী। এদের সকলের বয়স ১৩ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এসব তরুনী দেশে ফিরে কিছু মর্মান্তিক নির্যাতনের কথা শুনিয়েছে। পিরোজপুর জেলার মুক্তা আক্তার ভারতে তিন বছর জেল খেটে দেশে ফিরে গত ২০ সেপ্টেম্বর জানায় দালালদের খপ্পরে পড়ে ভালো চাকরির আশায় গত তিন বছর আগে গিয়েছিলাম ভারতে মোম্বাই শহরে। সেখানে গেলে আমাকে একটি ঘরে আটকিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। প্রতিটি দিন কমপক্ষে ৫ থেকে ২০ বার ধর্ষন করে পাষন্ডরা। আর এক সপ্তাহর বেশী কোথাও রাখে না। তারা জায়গা বদলায়। এই অমানসিক পাশবিক নির্যাতনে আমার সমস্থ শরীরে ঘা হয়ে যায়। এরপর আমাকে মোম্বাই থেকে পুনে নামক একটি শহরে নেওয়ার পথে আমি কৌশলে পালিয়ে যাই। এরপর সে দেশের পুলিশ আমাকে আটক করে জেল খানায় পাঠায়। বাগের হাট জেলার লাবনী আক্তার ফিরে এসে বলে আমাকে আটকিয়ে প্রতিদিন ১৬ বছরের ছেলে থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত ধর্ষন করেছে। ওই খানে কম বয়সী মেয়েদের চাহিদা বেশী। এমন ভাবে তারা লাগাতার তাকে ধর্ষন ও যৌন নির্যাতন করে যে পালাবার বা প্রতিবাদ করার শক্তিটুকু পর্যন্ত হারিয়ে ফেলি। দিনে এক দুবার নয় অনেক সময় ৫ থেকে ১০ বার ধর্ষণ এর শিকার হতে হয়েছে। এই ভাবে বর্ননা করেন আরো পাচার এর শিকার হয়ে দেশে ফেরা তরুনীরা।

সুত্র মতে যারা পাচার করে তাদের হাত অনেক লম্বা। তাছাড়া ওপর মহলের সাথে ভালো যোগসাজস আছে এই চক্রের। কাকে কোথায়, কিভাবে সাপ্লাই করতে হবে সে সব প্লান আগে থেকেই তৈরী থাকে। শুধু তাই নয় এসব দালালরা যে সব মেয়েদের বিক্রি করে ভারতের পতিতালয়ে তার আগে চুটিয়ে এদের ভোগ করে। এরপর খরিদ্দাররা তো আছেই। বাজারে মেয়েদের চাহিদা বেশী থাকায় দামও পাওয়া যায় ভালো। অপহৃত বা পাচার হওয়া করা মেয়েদের জায়গা হয় শুধু নিশিদ্ধ পল্লিতে নয় তার বাইরেও হয়। আর সেটা হয় হোয়াটসআ্যাপের মাধ্যেমে।
এসব মেয়েরা পাচার হয় অভিনয়ের মাধ্যেমে ও প্রেমের মাধ্যেমে। এসব দালালরা গ্রামের গরিব পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করে । প্রয়োজনে তাদের অভিভাবকদের অগ্রিম কিছু টাকাও দিয়ে দেয়। ভাল মাইনের কথা বলে এসব পরিবারকে বুঝিয়ে তাদের সহজ সরল মেয়েদের নিয়ে যায় নিশিদ্ধ পল্লিতে। আর নাবালিকা মেয়ে হলে বেশী দামে বিক্রি করে। অনেকে প্রেম ভালবাসার কথা বলে অভিনয় করে বিয়ে করে তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের বিভিন্ন শহরে। পরে মোটা টাকার বিনিময়ে জোর করে অন্য লোকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।
বিশ্বস্থ সুত্র জানায় বেনাপোল এর পুটখালী. দৌলতপুর, সাদিপুর, রঘুনাথপুর দিয়ে এবং শার্শার কায়বা, রুদ্্রপুর, গোগা, অগ্রভুলোট সীমান্ত দিয়ে পাচার হয় এসব কিশোর ও তরুনীরা।
তবে দারিদ্র ছাড়া অন্য কারণও আছে । যেমন বন্যা, খরা, সন্ত্রাস বা সরকারী সুযোগ সুবিধা না থাকার কারনে অন্যত্র যেতে গিয়ে ছেলে মেয়েরা পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে। ছেলেরা পড়ে বেগার শ্রমিকের যাঁতাকলে আর মেয়েদের কথাতো বলা হয়েছে। মেয়েরা কেউ যায় পতিতা পল্লীতে আর কেউ হয় রক্ষিতা।

স্থানীয় সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি এম এ মুন্নাফ বলেন, সীমান্ত দিয়ে কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নারী ও শিশু পাচার চক্রের সদস্যরা যোগসাজসে এসব পাচার কার্য করে থাকে।

 




এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ




স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২    বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।

 
Theme Developed By ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!