বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্ব স্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর বাঙালীর প্রচীন সভ্যতার আধুনিক স্থাপতী। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। বাঙালি জাতির নির্দিষ্ট মানচিত্রও তৈরি হতো না। আজকে আমরা বাংলাদেশ পরিচয়ে বিদেশের দূতাবাসে, জাতি পরিচয়ে কর্মযজ্ঞ চালাতে পারতাম না। তাই বঙ্গবন্ধুর এ ঋণ কোনো দিন শোধ করার নয়। স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত অপশক্তি এখনও দেশকে ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কথাগুলো বললেন শার্শার বাসাবাড়ি বাজারে আওয়ামী ও সহয্গোী সংগঠনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদৎ বার্ষিকীর দোয়া ও আলোচনা সভায় মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

মঙ্গলবার বেলা ৪ টার সময় শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত বাসাবাড়ি বাজারে শার্শাা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বদিয়ার রহমান তরফদার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন,সারাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যত উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়ন সবার সামনে আজ দৃশ্যমান। তিনি জাতির জনক ও জাতীয় চার নেতার দেখানো পথ অনুসর করে দেশের উন্নয়ন কাজে কাজ করার আহ্বান জানান। জাতির জনক নিজের জন্য নয় মানব কল্যানে অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করে কাজ করে গেছেন। আজ আগষ্ট মাস এই মাসে জাতির জনককে ও তিনার পরিবারকে হত্যা, ১৭ আগষ্ট জামান বিএনপির সিরিজ বোমা, ২১ আগষ্ট প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্রানেট হামলা করেছে এদেশের কুচক্রী মহল জিয়া মোস্তাকের অনুসারিরা।

তিনি আরো বলেন আজ শার্শায় চলছে দানবের রাজনীতি। এখানকার ত্যাগী নেতা কর্মী ও আওয়ামী পরিবার নির্যাতিত অপমানিত অবহেলিত। সরকারের ১২ বছরে এরা পায়নি কোন সুবিধা। এরা পেয়েছে মামলা হামলা জেল জুলুম। জাতির জনক ছিলেন একজন মানবিক মানুষ, মানবিক নেতা। তিনি এদেশের মানুষের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে বার বার জেল খেটেছেন। কিন্তু আজ শার্শায় যে আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু হয়েছে সেই রাজনীতি আওয়ামীলীগকে ডুবানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এখানকার একজন নেতা আজ বিএনপি জামাতের নেতাদের আওয়ামীলীগে প্রবেশ করায়ে একের পর এক ত্যাগি নেতাদের নির্যাতন করে চলেছে। আজ জাতির জনকের অনুপস্থিতে তার কন্যা অদম্য শক্তি সাহস নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে শুধু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ করার জন্য। আমরা জাতির জনকের সুন্দর গুনাবলির এবং তার সভ্য রাজনীতি অন্তরআত্নায় ধারন করে এগিয়ে যাব। আমাদের রাজনীতি হবে অসভ্যর সাথে সভ্যর রাজনীতি, বেয়াদবের সাথে আদবের রাজনীতি, অসত্যের সাথে সত্যের রাজনীতি। আমরা সম্পদ গড়ে তোলার রাজনীতির অংশ হব না, আমরা অত্যাচারী রাজনীতির অংশ হব না। আমরা জাতির জনক ও তার কন্যার আদর্শের মানব কল্যানের রাজনীতির অংশ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আজ নিজামপুর এর গোড়পাড়ায় যে জাতির জনকের পোষ্টার ছিড়েছে তারা অন্তত আর যাই করুক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে পারে না। এর সঠিক জবাব দিতে হবে শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে।’দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা উল্লেখ্য করে বলেন, বাংলার মানুষের কথা বলতে গিয়ে তিনি জীবনের অনেক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। এ দেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও উন্নত জীবন পায় এটাই ছিল তার স্বপ্ন। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো, এটাই আমার প্রত্যয়।

অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আাওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কবির উদ্দিন তোতা, শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা বিপুল, আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফফার হোসেন, আলীম রেজা বাপ্পী, আশরাফুল আলম বাটুল, পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি আব্দুল গফফার সরদার, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন,দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।