প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত এর প্রধান মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ মুখ্য মন্ত্রীকে উপহার হিসাবে বেনাপোল দিয়ে পাঠাল ২৬০০ কেজি আম
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সরকার বেনাপোল দিয়ে ২৬০০ কেজি উপহারের মৌসুমি ফল আম উপহার হিসাবে পাঠাল ভারত সরকারকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়কে ২৬০ কার্টুনের এ আমের চালানটি পাঠায় বাংলাদেশি ঢাকা মেট্রো ডি-১২-৩৩২৩ নং কাভার্ডভ্যানে। এটা বাংলাদেশের বিখ্যাত রংপুরের হাড়িভাংগা আম। ঢাকার রফতানি কারক প্রতিষ্ঠান এগ্রোভিশন প্রাইভেট লিঃ এর মাধ্যেমে বেনাপোল নোম্যন্সল্যান্ডে আমের এ চালানটি আসে। এরপর ভারতের কোলকতায় নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনার এর প্রথম সচিব ( রাজনৈতিক) মুহাম্মাদ সামিউল কাদের আমের চালানটি গ্রহন করেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় আমের চালনটি বেনাপোল পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে বাংলাদেশী কাভার্ডভ্যান থেকে ভারতের ডাব্লিউ ২৫ বি-৬৯৩৬ নং গাড়িতে লোড করে।
এসময় বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা, বেনাপোল স্থল বন্দর এর উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার, যশোর নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান, বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মোঃ আশরাফ আলী প্রমুখ। অপরদিকে ভারতে নিযুক্ত প্রথম সচিব এর সাথে প্রটোকল অফিসার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আজিজুল আলম ও এসকে ইমদাদ হোসেন। এছাড়া দুই দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমাদের একই ভুখন্ড যা, ১৯৪৭ সালের পর আমাদের বিভাজন। ভারত এর পশ্চিমবঙ্গ ও আমরা একই সংস্কৃতি একই সঙ্গিত, একই খাবার,একই কবিতা লালন করি। ভারত সরকার স্বাধীনতার সময় আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় ও খাদ্য যুগিয়েছিল। সেই আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনে করে একটি রাষ্ট্রের সাথে আর একটি রাষ্টের সৌহার্দ সম্প্রতি বজায় থাকা প্রয়োজন। তাই মৌসুমি ফল হিসাবে তিনি আম এবং বর্ষা মৌসুমে ইলিশ উপহার দেন ভারত সরকারকে। এছাড়া তিনি করোনা মাহমারি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামও উপহার হিসাবে পাঠিয়েছেন বেনাপোল দিয়ে।
মোঃ আনিছুর রহমান
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।