নূরজাহান নীরা
একাধিক গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে ১৭৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন।গ্যাস বিতরণকারী ৬টি কোম্পানি আছে।তিতাস,বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঙ্গল গ্যাস কোম্পানি সহ চারটি কোম্পানি আলাদা ভাবে এনার্জি রেগুলেটর কমিশনে(বিইআরসি) এই প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। বাকি কোম্পানি দুটিও জমা দিবে।পেট্রোবাংলা সুত্র বলছে, তরলীকৃত প্রকৃতিক গ্যাসে ভর্তুকি সামাল দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চিন্তা করেছেন সরকার। আবাসিক গ্রাহকদের ঘনমিটার প্রতি ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিল্পে প্রতিঘন মিটার ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা। সার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের দাম ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে ৯ টাকা ৬৫ পয়সা।হোটেল রেস্তোরাঁয় ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা।সিএনজিতে ব্যবহৃত গ্যাস ৩৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব।এছাড়া এক ক্যাভটিতে( শিল্প কারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবহৃত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে স্বাভাবিক ভাবেই আবারও পরিবহন ভাড়া বাড়বে।পরিবহন খরচ বাড়লে বাড়বে নিত্যপণ্য প্রতিটি জিনিসের দাম।যা জনগণের জন্য অতিরিক্ত চাপ।এমনিতেই বর্তমানে দুই চুলার বিল ৯৭৫ ও এক চুলার বিল ৯২৫ টাকা দিতেই হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। তার উপর এখন দুই চুলা ২১০০ ও এক চুলার বিল ২০০০ টাকা করার প্রস্তাব অযৌক্তিক ও অসহনীয়। যদিও গবেষণা বলছে প্রাকৃতিক জ্বালানি গ্যাসের মজুত শেষ হয়ে আসছে।আমদানি খরচ বাড়ছে।প্রয়োজনে আরও ভর্তুকি দিয়ে গ্যাসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত হবে।জাতীয় সম্পদ এই প্রাকৃতিক জ্বালানি গ্যাস নাম মাত্র মূল্যে বাংলাদেশের জনগণের পাওয়া উচিত সেখানে অতিরিক্ত চাপ হচ্ছে তার মূল্য শোধাতে। নাভিশ্বাস অবস্থা মানুষের। গত ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫০ কেজি চালের বস্তা প্রতি বেড়েছে ৬০০ থেকে ৮০০।চাল ডাল আটা চিনি পিঁয়াজ,এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য উর্ধ্বগতি লাগামের বাইরে।এ অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে এক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে জনগণকে।সরকারকে বিষয়তি ভেবে দেখা উচিত আবারও।সরকারের প্রতি সব মহলের আহবান জনবান্ধন হোন জনগণের চিন্তা করুন।জনগণ বাঁচলে বাঁচবে দেশ।জনগণ বাঁচান, দেশের মানুষ বাঁচান।গ্যাসের দাম স্থিতি রাখুন।