শনিবার বিকেলে র্যাব-৪ এর নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৪ এর ভাম্যমাণ আদালত ছিনতাই, চুরি ও মাদক সেবনের দায়ে ১৪ জনকে ছয় মাসের জন্য গাজীপুরের কিশোর সংশোধনালয়ে পাঠিয়েছেন। এছাড়া ৩ জনকে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন।
নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, মিরপুর দারুস সালাম রোডে একজন ছিনতাইকারীকে ধরা হয়। সে টাকা ছিনতাই করে পালাচ্ছিল। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিরপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্রুপ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ছিনতাই করে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপের নাম ‘ব্লেড রানার’। এ গ্রুপের সদস্যরা পকেট কাটার জন্য সব সময় ব্লেড রাখে। যদি তাদেরকে জনগণ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধরে ফেলে তখন এরা পকেটে রাখা ব্লেড দিয়ে নিজেদের হাত, পা, মুখ কেটে ফেলে।
এছাড়া এই এলাকায় আরেকটি গ্রুপ রয়েছে। যারা নিজেদের ‘নিনজা’ কিশোর গ্যাং নামে পরিচয় দেয়। এদের চলাফেরার গতি খুব দ্রুত। এরা কারো কাছ থেকে কোন কিছু ছিনতাইয়ের পর দ্রুত সেটি দলের অন্য সদস্যদের কাছে দিয়ে দেয়। সেজন্য ছিনতাইকারীকে সহজে শনাক্ত করা যায় না।
তিনি জানান, এই দুটি গ্রুপের দ্বারা মূলত ফুটপাতে কেনাকাটা করতে আসা শ্রমজীবী মানুষ, গার্মেন্টস কর্মীরা ভুক্তভোগী হয়। এছাড়াও যারা নাইট শিফটে কাজে বের হয় তাদেরকে আটকে ছিনতাই করা হয়। এলাকাতে ছিনতাইকে কেন্দ্র করে এরা প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
Leave a Reply