শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনায়ন আব্দুল ওহাবকে দেওয়ায় সাধারন নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আব্দুল ওহাব ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি হলেও তিনি গত ২০১৬ সালে প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া নৌকা প্রতিকের প্রাথীর বিরুদ্ধে সরাসরি বিরোধিতা করে আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করে আনারস প্রাথী আবুল কালাম আজাদকে বিজয়ী করে। নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্্েরাহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রতীক আনায় নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। অনেকে এ সিদ্ধান্তকে আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত হিসাবে মন্তব্য করেছেন।
সুত্র মতে গত ২২ অক্টোবর ঢাকা থেকে ঘোষনা দেওয়া হয় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের। আর এই ধাপে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চুল চেরা বিচার বিশ্লেষন করে দেওয়া হচ্ছে আওয়ামীলীগের পরিচ্ছন্ন নেতাকর্মীদের মনোনায়ন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেওয়া ওহাবকে মনোনায়ন দেওয়ায় উপজেলার ত্যাগী নেতা কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
নিজামপুর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আলীম রেজা বাপ্পী বলেন, গত ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেয় এই আব্দুল ওহাব। সে বিদ্রোহী প্রার্থী কালাম এর পক্ষে কাজ করে নৌকা প্রতীক ভেঙ্গে ছিড়ে ও পুড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয় ওই সময়ের নৌকার প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রেজা বিপুল এর ছবি সংবলিত প্রধান মন্ত্রী ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি পুড়িয়ে দেয় এই আব্দুল ওহাব।
স্থানীয় গোড়পাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কাজ করার পরও কি ভাবে এই ওহাবকে মনোনায়ন দিল এটা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা অনতিবিলম্বে এই মনোনায়ন প্রত্যাহার এর আবেদন করছি।
উল্লেখ্য জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকিতে এই সেলিম রেজা বিপুলের বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ফেস্টু ব্যানার ছিড়ে ফেলে এই ওহাব এর নেতৃত্বে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।