আদালতের নির্দেশে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার রাতেই ওই নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে পরীক্ষা হয়নি। সোমবার তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়ার কথা রয়েছে। তবে ওসি ঘটনাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগীর বড় বোন জানান, তার বোনের শ্বশুরবাড়ি সিলেটে। বাপের বাড়ি ফুলবাড়িগেট এলাকায়। তাদের মা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে দেখতে খুলনায় আসেন তিনি। বোন নিজেও অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার যশোরে ডাক্তার দেখাতে যায়। শুক্রবার আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে যায়।
পরে রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরো চারজন পুলিশ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ মামলা দিয়ে ওকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর তার বোন থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন। তবে ওসি ছাড়া বাকি চার পুলিশ সদস্যের নাম জানাতে পারেননি ভুক্তভোগীর পরিবার।
এদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গনি মোটা অংকের টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু সমঝোতায় রাজি না হওয়ায় তিনি হুমকি দিচ্ছেন বলেও ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
ওসি ওসমান গনি সোমবার সকালে বলেন, শুনেছি ওই মহিলা তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাকে মহিলা এসআই এবং মহিলা কনস্টেবল পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। আর থানায় রাতে আটজন পাহারায় থাকে। সেখানে তাকে ধর্ষণের কোনো সুযোগ নেই। ফেনসিডিলের মামলা থেকে রক্ষা পেতে সে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছে।
Leave a Reply