বেনাপোলে অবৈধ সন্তান এর দোষ চাপিয়ে দেওয়ায় ৪ কোটি টাকার মান হানির মামলা
আশাদুজ্জামান আশা
বেনাপোলে পিতৃবিহীন সন্তান জন্ম দেওয়া নারীর পক্ষে চাঁদা দাবি করার মামলায় পুলিশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করেছে। বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় গ্রামে কুলসুম নামে এক নারী অবৈধ সন্তানের পিতা রেজাউল নামে তিন সন্তানের এক জনককে দায়ী করলে রেজাউল আদালতে ৪ কোটি টাকা মান হানি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটির বিষয় যশোর পিবিআই এর ইন্সপেক্টর তৈয়ব হোসেন তদন্ত করেন। এতে গ্রাম বাসি সাক্ষি প্রদান করেন। উপস্থিত সাক্ষি গন এর একটি অংশ রেজাউলের কাছে চাঁদা দাবি করেছে একই গ্রামের ৩ জন নারী বলে সাক্ষি দিয়েছে।
সুত্র মতে রোজিনা খাতুন, সুখচাঁন সহ অনেকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে জানায় কুলসুম নামে যে নারীর পিতৃবিহীন সন্তান জন্ম হয়েছে তার পক্ষে ওই গ্রামের তিন জন নারী আপোষ মিমাংসা করার কথা বলে মোট ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে মান সন্মানের হানি হচ্ছে দাবি করে দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুর রহিম এর ছেলে রেজাউল ইসলাম বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১১ ই জানুয়ারী একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ ক্ষতিপুরুন বাবদ সে ৪ কোটি টাকা দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষেতি আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ তদন্ত করেন। তদন্ত অনুষ্ঠানে এলাকার একাধিক সাক্ষি ওই নারীকে চরিত্রহীন বলে দাবি করে। সে ইদ্রিস নামে এক লোক সহ একাধিক লোকের সাথে অবৈধ মেলামেশা করে।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আবু তৈয়ব বলেন সাক্ষিগনের সাক্ষিতে বুঝা গেল ওই নারী একজন চরিত্রহীন। তবে এই সন্তান কার একজনের উপর দায় চাপালে হবে না। এটা প্রমান করতে হবে। আর চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি তিনি বলেন যাদের নামে অভিযোগ হয়েছে তাদের কিছু বলার থাকলে তার কার্যালয়ে যশোর যেয়ে বলতে হবে। যদি সময় মত না যায় তবে নিয়ম অনুযায়ী চাঁদাবাজী মামলা হবে।
ফুলজান নামে এক নারী বলে আমি জানি একদিন রাত্রে তারা একটি ঘরের পিছনে অবৈধ মেলা মেশার জন্য সময় কাটিয়েছে। আমি তাদের প্রথমে এসব করতে নিশেধ করি। তারপর আমাকে তারা ঠেলা দিয়ে চলে যেতে বলে। এরপর আমি চলে আসি। তারা সেখানে বেশ কিছু সময় অন্ধকার রাত্রে ছিল।
Leave a Reply