আশাদুজ্জামান আশা
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরকিয়া প্রেমে কালাম নামে এক যুবককে সর্বস্বান্ত করেছে একাধিক বিবাহের নায়িকা তানজিলা নামে এক যুবতী (২৫)। শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের বজলুর রহমান এর পুত্র আবুল কালাম অভিযোগটি করেছে। ঘটনার বিবরনে জানা গেছে তানজিলা তার সাথে প্রায় তিন বছর প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন সময় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর সে অন্য একটি ছেলের সাথে বিয়ে করে। সে এই তিন বছর স্বামী স্ত্রী সেজে বিভিন্ন লোকের বাড়ি রাত্রি যাপন করে কালাম এর সাথে । তানজিলার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে বলে টাকা খরছ হয়ে গেছে।তানজিলা বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের ইয়ার আলীর মেয়ে।
শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের আবুল কালাম জানায় আমার স্ত্রী ও দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। হঠাৎ বেনাপোলের একাধিক বিবাহের নায়িকা তানজিলার সাথে তার পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সুত্র ধরে সে মাঝে মধ্যে তার অসহায়ত্বের কথা বলে টাকা নিত। এরই মধ্যে তার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারপর স্বামী স্ত্রী সেজে তারা বারোপোতার খোকার বাড়ি ২ দিন পুটখালী গ্রামের আজিজুল এর বাড়ি ১ দিন খলসির শিমুল এর বাড়ি ১ দিন গোগার নাছের এর বাড়ি ৫ দিন, তার নিজের বাড়ি স্ত্রীর অনুপস্থিতে কয়েকদিন সহ বিভিন্ন জায়গায় রাত্রি যাপন করেছে। আর তানিজিলা তার সাথে এসময় বিয়ের কথা বলে অভিনয় করে আমার নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই টাকা নেওয়ার একমাত্র সাক্ষী খলসি গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে শিমুল হোসেন। তানজিলার তিনটি বিয়ে হয়েছে বলেও জানায়। এছাড়া তার স্বামী মহিদুল বিভিন্ন নেশা করত এবং তারও একাধিক স্ত্রী থাকায় তানজিলা আমাকে দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে তার স্বামীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
এ ব্যাপারে শিমুল এর সাথে কথা বলে জানা গেছে তার হাত দিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা তানজিলাকে দিয়েছে। যে টাকা আবুল কালামের। এই টাকা কি জন্য নিয়েছে জানতে চাইলে শিমুল বলে তার সাথে বিয়ে করবে এবং জায়গা ক্রয় করে ঘর বাধবে বলে নিয়েছে। ঘটনাটি তার বোন সাগরিকাও জানে।
সাগরিকার নিকট ফোনে জানতে চাইলে বলে কালামের সাথে তার বোনের ভাই বোনের সম্পর্ক ছিল। তার নিকট থেকে টাকা পয়সা নিয়েছে কি না জানি না।
তানজিলার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে আমার স্বামী মহিদুলকে কালাম মাদক দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এরপর তার সাথে আমি ব্যবসায়িক স্বার্থে মিশেছি। টাকা নিয়েছে কি না এবং তার সাথে একাধিক বাড়িতে রাত্রি যাপন করেছে কি না জানতে চাইলে সে বলে আমি একবার জোরাজুরিতে কালামের ফুপুর বাড়ি গিয়েছিলাম। তথ্য প্রমান আছে এবং স্বাক্ষী আছে আপনি দীর্ঘ দিন কালামের সাথে আরো বাড়িতে গেছেন এমন প্রশ্নে সে বলে এসব যারা বলবে তারা মিথ্যা কথা বলবে। আর যে সব বাড়িতে গিয়েছিলাম তারা আমাকে চিনবে কারন আমি এক সময় ইয়াবার ব্যবসা করতাম। আমি কালামের নিকট দেড় লাখ টাকা পাব।
Leave a Reply