জাতির জনকের আহবানে আলাদা লাল সবুজের ভুখন্ডের জন্য সাড়ে সাত কোটি মানুষ একত্রিত হয়েছিল
—– মেয়র আশরাফুল আলম লিটন
আশাদুজ্জামান আশা
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ এর সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, শোষন, নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য এবং আলাদা ভুখন্ডের জন্য জাতির জনকের আহ্বানে এই মানুষগুলো একত্রিত হয়। জাতির জনকের আদর্শর আহবানে মুক্তি পাগল সাড়ে ৭ কোটি মানুষ একত্রিত হয়েছিল একটি লাল সবুজের পতাকার জন্য। গনতন্ত্র রক্ষা দিবস এবং গনতন্ত্রর যে বিদায় দিবস, গনতন্ত্র যেমন স্বাধীন সহজ এবং মানুষের বড় প্রাপ্তী সেই গনতন্ত্র যদি ভুল জায়গায় যেয়ে পড়ে ভুল মানুষ এর কাছে যেয়ে পড়ে গনতন্ত্র বিপদজ্জনকও বটে। কথাগুলো বললেন বেনাপোল পৌর দলীয় কার্যালয়ে গনতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি মেয়র লিটন।
বুধবার বিকেলে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে ৩০ ডিসেম্বর গনতন্ত্রর বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আহসান উল্লাহ মাষ্টার।
প্রধান অতিথি মেয়র লিটন বলেন. ৩০ ডিসেম্বর গনতন্ত্রের বিজয় দিবস। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন এর স্মরনে দিনটি পালন করা হয়। জাতির জনককে সেই সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নানা ভাবে তার বুদ্ধিজীবীরা মেধাবীরা তাকে বলে ছিল আপনার এই উদারনীতি এদেশের মানুষের কাছে চর্চা করার সুযোগ কিন্তু খুব কম। কারন এই মাটি সারাটি জীবন শোষিত বঞ্চিত হয়েছে। বৃটিশরা ২০০ বছর এই মাটিকে লাঠি দিয়ে শাসন করে রেখেছে। কিন্তু জাতির জনক ছিল অত্যান্ত দয়ালু অত্যান্ত ভালবসত বাংলার মানুষকে আর সেই সুযোগে পাকিস্থানী প্রেতাত্নরা এদেশের সহযোগি দোসরদের সাথে আঁতাত করে বিদেশী অর্থায়নে হত্যা করে জাতির জনককে। এরপর অনেক লড়াই সংগ্রাম হলো গনতন্ত্র হোঁচট খেল । এরপর এদেশের মেধাবী সেনাবাহিনীকে হত্যা করা হলো। হত্যা করা হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপজেলা, জেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের। ধারবাহিক ভাবে ২১ টি বছর এদেশের গনতন্ত্র হোঁচট খেতে হলো। ১৯৮১ সালে এদেশে জাতির জনকের কন্যা এসে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য হাজার হাজার মাইল হাটতে লাগল। তিনি অসংখ্য অত্যাচারী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকের জানাজায় যেয়ে মাইলে পর মালি পায়ে হেটে গনতন্ত্র উদ্ধারের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে লাগল। আজ এদেশের সকল ধর্ম সকল বর্নের মানুষ একসাথে বসবাস করছে। এখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারন এই পানি এই বাতাস এই আলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয়। এই মাটি এই পানি এই আলো বাতাস হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সকল মানুষের জন্য। জাতির জনক নিজের লাভের জন্য এই মাটি ব্যবহার করে নাই। তিনি এদেশের মানুষকে উদ্ধারের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে যৌবনের শ্রেষ্ট সময় জেল খেটেছেন। সেই জাতির জনককে এদেশের বিপথগামী মানুষ হত্যা করেছে আমরা তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি নাই। আজ তার কন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে ও এদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তার পাশে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আর আমাদের উন্নয়নকে যারা বাধা গ্রস্থ করবে তাদের আমরা কোন রকম প্রশ্রয় দিব না।
এসময় উপস্থিত ছিল শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য মোজাফফার হোসেন, ,মতিয়ার রহমান মধু, বেনাপোল পৌর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন আলম, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান ।
Leave a Reply