আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেনাপোলে খাস জমি বরাদ্দের অভিযোগ তহশিলদার এর বিরুদ্ধে
আলতাফ চৌধুরীঃ
রেকর্ড সংশোধনের মামলা চলাকালিন সময়ে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে খাস জমি হিসাবে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তহশিলদার এর বিরুদ্ধে। আর এই বরাদ্দের কারনে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ ভোগ দখল কারী জমির মালিক আলী আকবর স্ট্রোক করে পরে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে মৃত্যু বরন করেছে। অর্থের লালসায় একাজ করেছে বলে অভিযোগটি উঠেছে বেনাপোল তহশিলদার আবু সাইদ এর বিরুদ্ধে।
আলী আকবার ও তার সহোদর ভাই সফি উদ্দন ১৯৭৮ সালে বড় আঁচড়া মৌজায় ছোটআঁচড়া মাঠে গাতিপাড়া গ্রামের রবিউল ও সামাউল ইসলাম এর নিকট থেকে ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমি ২৪/০৫/১৯৭৮ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রি হয়। যার খতিয়ান নং ১১০৩ আর এস নম্বর ৮৭৮,৯৭৫,৯৭৩।
আলী আকবার এর ছেলে আব্দুর রহমান মিঠু, মাসুদুর রহমান মাসুম, মাহবুবুবর রহমান মামুন বলেন আমার পিতার ও চাচার ক্রয়কৃত ৩৭ শতাংশ জমির প্রিন্ট পর্চা না আশায় খাস জমি দেখিয়ে বেনাপোল এর তহশিলদার আবু সাইদ মোল্লা বিত্তবানদের মাঝে জমিটি বরাদ্দ দেয়। আমাদের পরিবার দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ জমিটি ভোগ দখল করে আসছে। সম্প্রতি আবু সাইদ মোল্লা খাস জমি দেখিয়ে বেনাপোলের বিত্তবান ৮ জন লোককে জমিটি বরাদ্দ দিয়েছে। যা নিয়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষ হতে পারে। আমরা ওই জমি চাষ করতে গেলে কিছু সন্ত্রাসী এসে বাধা দেয়। দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে আমাদের উপর হামলা করারও পায়তারা করে। আমরা নিরীহ মানুষ উপায়ন্তর না দেখে বিজ্ঞ আদালতে মামলা রুুজু করি। আদালত যাতে কোন প্রকার বিশৃংখলা না হয় তার জন্য ১৪৪ ধারা জারী করে। অর্থের লালসায় এধরনের ঘৃনিত কাজ করে বেনাপোল ইউনিয়ন এর তহশিলদার হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে । আর পরিবার পরিজন নিয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে অবেশেষে তাদের পিতা আলী আকবর গত ৪/০৩/২০ তারিখে মৃত্যু বরন করে।
ছোট আঁচড়া গ্রামের ওই জমির ক্রয় সুত্রে মালিক সফি উদ্দিন বলেন, রেকর্ড সংশোধন মামলা যেখানে আদালতে চলছে সেখানে কি ভাবে এই জমি খাস দেখিয়ে অন্যর নামে বরাদ্দ দেয়। এটা সম্পুর্ন বেআইনি। তহশিলদার বরাদ্দকৃতদের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্য করেছে। সে বেনাপোল ও বেনাপোল ইউনিয়ন এলাকায় আরো এধরনের জমি বিত্তবানদের মাঝে বরাদ্দ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের ক্রয়কৃত এই ৩৭ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা চলছে যার মামলা নং ৫৪/১৬ তারিখ ১৩/০৭/২০১৬। তিনি বলেন আমরা যাতে জমিটি আইন সম্মত ভাবে ফিরিয়ে পেতে পারি তার জন্য প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এছাড়া তহশিলদার যাদের মধ্যে জমি বরাদ্দ দিয়েছে তাদের মধ্যে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারও আছে।
এদিকে একটি সচেতন মহল দাবি করে বলে প্রধান মন্ত্রী যেখানে প্রতিটি ইঞ্চিতে ফসল উৎপাদন করতে বলেছে সেখানে ওই ৩৭ শতাংশ জমিতে ১৪৪ ধারা জারির কারনে কোন ফসল উৎপাদনতো হচ্ছে না বরং যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।
বেনাপোল ভুমি অফিসের কর্মকর্তা আবু সাইদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা অভিযোগ করেছে তাদের নামে কোন জমি নেই। এটা সরকারী খাস জমি। সরকারী বিধি মালা অনুযায়ী ভুমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ বরাদ্দকৃত জমি তিনতলা বাড়ির একজন মালিককেও বরাদ্দ দিয়েছে।
Leave a Reply