বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, করোনা সংক্রামণ জীবানু ছড়াচ্ছে, ঠান্ডা কাশি জনিত লোক প্রবেশ করছে, অনিয়মের মধ্যে চলছে যশোর এর শার্শা উপজেলার সাতমাইল গরুর হাট। এরকম দোহা তুলে গত ২৬ তারিখে বন্ধ করে দেয় যশোর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শার্শা উপজেলা প্রশাসন। দক্ষিনবঙ্গের সর্ববৃহৎ এ হাটটি বন্ধ হয়ে যাওয়া হতাশা প্রকাশ করছে এই এলাকার পশু ব্যবসায়ি ও খামার ব্যবসায়িরা। তবে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যারা এর আগে হাট চালাত তারা এবছর না পাওয়াতে ওই সব অভিযোগ তুলে গুজব ছড়ালে হাটটি বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে সাতমাইল গরুর হাটে যেয়ে দেখা যায় এখানে রয়েছে গরু নিয়ে প্রবেশের ৫ টি প্রবেশ দ্বার। আবার বের হওয়ার পথ ও রয়েছে আলাদা। ৫টি প্রবেশদ্বারে অটোমেটিক জীবানু নাশক মেশিন বসানো রয়েছে। ওই সকল গেটে মানুষ গেলে অটোমেটিক জীবানু নাশক ওষূধ স্প্রে হতে থাকে।। আবার মানুষ সরে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে। রয়েছে প্রায় শতাধিক স্প্রে বোতল। ৭০ জন বলেন্টিয়ার ও ২৫ জন গেটম্যান রয়েছে। হাট শুরু থেকে ওই বলেন্টিয়াররা হাটে প্রবেশ করে বোতল দিয়ে স্প্রে করে।
স্থানীয় বাগআঁচড়া ইউপি মেম্বার আছাদুল ইসলাম বলেন, এই হাটটি এর আগে প্রায় ১০ বছর ইজারা নিয়ে চালিয়েছে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল। সে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে হাট পরিচালনা করেছে তার লালিত একটি বাহিনী দিয়ে। চলতি বছর সে এসব অনিয়মের কারনে হাটের ইজারা না পেয়ে করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মানছে না এমন গুজব ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে হাটটি বন্ধ হয়ে যায়।
সাতমাইল হাটের ইজারাদার আব্দুল খালেক খতিব ধাবক বলেন, আমি ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে হাটটি ইজারা নিয়েছি। এর শেয়ার রয়েছে ৩ হাজার। আমি প্রায় ১২০ জন লোক নিয়ে প্রতি হাট স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিচালনা করি। করোনা সংক্রামণ জীবানু যাতে হাটে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য প্রবেশদ্বারে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় স্প্রে মেশিন। রয়েছে শতাধিক স্প্রে বোতল। তাছাড়া আজ পর্যন্ত এই হাট থেকে একজন লোকও করোনায় আক্রান্তও হয়নি এবং মারাও যায়নি। এখন হাট বন্ধ করে দেওয়ায় আমি কি ভাবে সরকারের রাজস্বর ৬ কোটি টাকা পরিশোধ করব।
গরুর ব্যপারি সুজন বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে এই হাটের সাথে জড়িত। এখানে গরু কেনা বেচা করি। এবার এই কোরবানী ঈদ মৌসুমে হাটটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা হতাশায় ভুগছি। কারন সারাবছর ধরে গরু খামার এর গরু সন্তান স্নেহে লালন পালন করে এখন মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাইরে থেকে বেপারি না এলে আমাদের গরু লোকসানে বেচাকেনা করতে হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা বলেন, ৩০ জুন এর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হাট কি ভাবে চলবে।
স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ বিঃদ্রঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান।