বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের বিআইপি সাগর এর বিরুদ্ধে ভালো মানুষকে ধরে মারধর হয়রানি ও উৎকোচ চাওয়াও ধুড় পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অগ্রভুলোট সীমান্তের ভুক্তভোগি কয়েকজন সাগর এর অত্যাচার সম্পর্কে বর্ননা দেন।
অগ্রভুলোট সীমান্তের পাঁচভুলোট গ্রামের আলী হায়দার এর ছেলে সুজন বলেন সে একজন পেশায় সেলুন ব্যবসায়ী। সকাল বেলায় সে সেলুন এর কাজ করে আর বিকাল বেলায় সে ইজিবাইকে করে এল ইডি বাল্ব বিক্রি করে থাকে। হঠাৎ আমি রাত্রে বাড়ি যাওয়ার সময় সম্প্রতি তাকে পথে ধরে অগ্রভুলোট ক্যাম্পের বিআইপি সাগর মারধর করে। এসময় তার সাথে আরো কয়েকজন বিজিবি সদস্য ছিল। তাকে মারধর করে বলে তুই একজন মাদক ব্যবসায়ী। ইয়াবা কোথায় রেখেছিস বল। এই বলে তার ইজিবাইক চালক শিমুলকে ফোন দিতে বলে। সাগর বলে শিমুলকে ফোন দিয়ে বল ইয়াবা নিয়ে আসতে । এই ভাবে সাগর আমাকে মারপিট করে আর অযথা হয়রানির এক পর্যায়ে গ্রাম বাসি ছুটে আসলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়।
খলসী গ্রামের ইজিবাইক চালক শিমুল বলেন, সাগর আমাকে ফোন দিয়ে বলে তুমি খুব ভাল ছেলে আমাকে কয়েক পিচ ইয়াবা দেও। আমি বলি আমি কোথায় পাব ইয়াবা আমাকে এসব কি বলছেন। আমি ইজিবাইক চালিয়ে খাই। এরপর সে বলে তোকে দেখে নিব এই বলে ফোন কেটে দেয়।
অগ্রভুলোট গ্রামের আবুল কালাম মন্ডল বলেন বিআইপি সাগর এবং এফ এস গিয়াস আমার নিকট কয়েকবার টাকা চেয়েছে। আমি তাদের কি জন্য টাকা দিব এ কথা বলায় গিয়াস আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে মাজিদ ও রানাকে ফেনসিডিল সহ আটক করে। তাদের দিয়ে জোর করে নাম বলায়ে একাজ করেছে ওই বিজিবি সদস্যরা। কালাম অভিযোগ করে বলেন বিজিবি সদস্য সাগর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী মফিজুর, শহিদুল আশরাফ ও ইউনুচ আলীর বাড়ি যায়। তাদের নিকট থেকে সে অর্থ আদায় করে বলেও অভিযোগ করেন। এছাড়া সে ভারতে ধুড় পাচারকারীর নিকট থেকে জন প্রতি ২০০ টাকা নিয়ে থাকে।
এ বিষয় অগ্রভুলোট ক্যাম্পের বিআইপ সাগর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব মিথ্যা কথা। আমার বিষয় যারা বলছে তারা হয়ত আমার প্রতি ঈর্ষাম্বিত হয়ে এসব অভিযোগ তুলছে। আপনার কিছু জানার প্রয়োজন হলে আপনি আমার কর্তৃপক্ষের নিকট জানবেন।
Leave a Reply